ফিলিস্তিনিদেরকে জেরুজালেমের অধিকার ছাড়তে বলেছে ইসরাইলের মিত্র সৌদি আরব। সেইসাথে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য জেরুজালেমের পরিবর্তে অন্য একটি স্থানকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে বেছে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে আরব রাষ্ট্রটি।
অধিকৃত জেরুজালেমের পাশেই ফিলিস্তিনের আবু দিস শহরকে এর রাজধানী হিসেবে বেছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরব। এদিকে সৌদি আরবের প্রস্তাবের পক্ষে ফিলিস্তিনি জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জেরুজালেমই আমাদের রাজধানী’ বলে হ্যাশটেগ দেয়া শুরু করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত মাসে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের রিয়াদ সফরকালে সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান প্রস্তাবটি করেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, পশ্চিম তীর ও গাজা অংশের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা একটি আংশিক রাষ্ট্র পাবেন, যার ওপরে তাদের কেবল আংশিক সার্বভৌমত্ব থাকবে এবং পশ্চিম তীরে ইহুদিরা সংখ্যাগুরু হিসেবে থাকবে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, প্রস্তাবটিতে সাড়া দেয়ার জন্য সৌদি আরব আব্বাসকে দুই মাস সময় দিয়েছে।
আবু দিস একটি দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের কাছাকাছি ফিলিস্তিনি শহর। অসলো চুক্তি অনুসারে এটি বি ক্যাটাগরির একটি এলাকা যা ইসরাইল ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ উভয় দ্বারা পরিচালিত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার পর ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভের সময় ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ-ধর্মঘট করেছে। তাদের ঠেকাতে শত শত অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরাইল।
বিক্ষোভকারীদের গাড়ির টায়ার জ্বালানো এবং পাথর ছুড়ে মারার জবাবে ইসরাইলি সেনারা টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়াসহ তাজা গুলিবর্ষণও করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, গাজা থেকে ইসরাইলে দুটো রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলি সেনারা গুলিও করেছে। এ ঘটনায় ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সীমান্ত বেষ্টনী এলাকায় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে।
এছাড়া জেরুজালেমসহ বেথলেহেম, রামাল্লাহ ও অন্যান্য শহরগুলোতেও বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষে ৪৯ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।