শনিবার দুপুরে সৌদি সরকার জার্মানি থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সৌদি আরবের বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র মতে জার্মানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গিবারটিল লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ কালে বলেন, সৌদি সরকার লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরিকে জোরপূর্বক রাজধানী রিয়াদে আটকে রেখেছে।
সৌদি সরকার বলছে জার্মান মন্ত্রীর এমন ভিত্তিহীন কথা বিবাদমান পরিস্থিতির আরো অবনাতি ঘটাবে। খবর আল আরাবিয়ার।
প্রতিবাদ স্বরূপ সৌদি সরকার জার্মান থেখে তাদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এবং জার্মান দূতাবাসে প্রতিবাদলিপি পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুইডেন থেকে সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার
এর আগে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের জের ধরে সুইডেনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে রিয়াদ। স্টকহোম সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর রিয়াদ এ পদক্ষেপ নিল।
সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভেরোনিকা নর্ডলান্ড বলেন, ‘মঙ্গলবার সৌদি আরব আমাদের জানিয়েছে যে তারা তারা তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।’
এর আগে সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগোট জানিয়েছিলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করার কারণে মিশরের রাজধানী কায়রোয় আরব লীগের সম্মেলনে তার বক্তৃতা দেয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানায় সৌদি আরব।
মূলত সৌদি সরকারের এ আপত্তির কারণে মারগোটের বক্তৃতা বাতিল হয়ে যায়। এরপর সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভ্যান মঙ্গলবার অস্ত্র চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন। ২০০৫ সালে সুইডেন ও সৌদি আরবের মধ্যে ৫৬ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি হয়েছিল যেটির মেয়াদ মে মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ইউরোপের মধ্যে সুইডেন প্রথম দেশ যে দেশটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে সৌদি আরবের এক ব্লগারের শারীরিক শাস্তিসহ মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করছে দেশটি।