
বিকেলের দিকে প্যাকেটের ভেতর থাকা তার দিয়ে প্যাঁচানো দুটি বোমা উদ্ধার করে পরে তা নিষ্ক্রিয় করে র্যাব ৬-এর বোমা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণে বিকট শব্দে কেঁপে উঠে পুরো এলাকা।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, দুপুর ১২টার দিকে একজন নারী রাস্তার পাশের ওই মিষ্টির প্যাকেটটি দেখতে পান। কৌতূহলবশত সেটি খুলতে গিয়ে ভেতরে তার ও টেপ জড়ানো দেখে তার সন্দেহ হলে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। পরে র্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
প্রায় দেড় ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর বোমা দুটিকে উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেন র্যাব সদস্যরা।
ওসি জানান, এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে বোমা উদ্ধার করে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। বোমা দুটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।
বোমা দুটি বিস্ফোরণ ঘটানোর পর র্যাব-৬-এর পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বেলা একটার দিকে রেল ক্রসিংয়ের পাশের ঝোপের মধ্যে স্থানীয় লোকজন মিষ্টির প্যাকেটের মধ্যে বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে র্যাব-৬-এর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা দুটি উদ্ধার করে। বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য বোমা দুটি শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পাশে খোলা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম বলেন, বোমার মধ্যে সার্কিট ডিভাইস ছিল, ছিল সুইচ ও ব্যাটারি। একটি লাল টেপ দিয়ে সেগুলো মোড়ানো ছিল। বোমা দুটি স্থানীয়ভাবে হাতে তৈরি করা হয়েছে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়া তো কেউ আর বোমা এভাবে ফেলে রাখবে না। নিঃসন্দেহে এর পেছনে বড় কোনো দুরভিসন্ধি ছিল। এটা এখন খুঁজে বের করতে হবে কারা করেছে।’