
বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ মালিক সমিতি গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ রবিবার বিদ্যুৎ বিতরণ অফিস ভবনের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়।
এ সময় সংগঠনের জেলা নেতা আহমাদুর রহমান রহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, ওয়ার্কার্স পাটি জেলা নেতা পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির জেলা সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, বাসদ জেলা সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, সংগঠনের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমান, মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, মাহাবুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবর রহমান সুমন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালে মিটার ব্যবহার করে গ্রাহকদের ২.৪.৬ হার্স পাওয়ার মটরের গড় বিল হয়েছে ৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে ২০১৪ সালকে ভিত্তি ধরে গ্রাহকদের সংশোধিত বিদ্যুৎ বিল দাঁড়িয় গড় ভিত্তিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এতে করে গ্রাহকদের ২২.০০ সেচ পাম্পে যে বিল ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ সালে আসে তাতে তাদের বিল প্রায় ১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বেশী ছাড়িয়ে যায় তা গ্রাহকরা কোনদিনই পরিশোধ করতে পারবে না।
তারা বলেন, গ্রাহকরা বিল পরিশোধ করতে চায় ২০১৭ সালে যেসব চালু মিটার ছিল ওইসব সেচ পাম্পের যে অনুপাতে বিল হয়েছে সেই অনুসারে। তাই গ্রাহকদের এ ন্যায্য দাবী মেনে নেয়ার আহবান জানান তারা। তারা দাবি করেন, যে অবস্থাতেই হোক ধান উৎপাদনের জন্য ২০১৭-২০১৮ সালের সেচ মৌসুমে প্রতিটি সেচ মিটার সংযোগ দিতে হবে। বিদ্যুতের দাম কোন ক্রমেই বৃদ্ধি করা যাবে না।
বিলিং কম্পিউটার মেশিন রংপুরের পরিবর্তে গাইবান্ধায় স্থাপন করতে হবে। বসতবাড়ির অতিরিক্ত বিল করা যাবে না। পিডিবির অনিয়মকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে।