1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ী পৌরশহরের আমবাড়ীতে পৌর যুবদলের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে উপজেলার নাগরিক সংগঠনের ত্রৈমাসিক সভা হাসিনার ফাঁসির রা‌য়ে তারাগঞ্জে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ভরতখালী পরিত্যক্ত রেলকোয়াটার ভাঙ্গা নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে!

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী রেলওয়ে ষ্টেশনের সন্নিকটে বাংলাদেশ রেলওয়ে’র জায়গায় রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ১৬টি ভবন স¤প্রতি পরিত্যক্ত ঘোষনা করে নিলাম করা হয়েছে। নিলামে পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবনগুলির ভাঙ্গনের সময় ইট-পাথর মালামাল রক্ষার জন্য টিনের বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বসবাসকারি পরিবারদের মাঝে চরম দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারিরা রেলওয়ের সম্পত্তি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ তুলে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। অপরদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বলছেন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ভবনে অবৈধভাবে বসবাসকারীরা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন করছে। উচ্ছেদের অভিযোগ এনে আনোয়ারের স্ত্রী শিরিন বলেন, আমার শ^শুড় কামাল উদ্দিন রেলে চাকুরি করতো। সে সুবাদেই ভবনে কমপক্ষে ২৫ বছর ধরে আমরাও রেলের ভবনে বসবাস করে আসছি। বর্তমানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের নোটিশ দিয়ে ভবন থেকে (উচ্ছেদ) বের করে দিয়েছে। আমরা ছেড়েও দিয়েছি। সেই সাথে পরিত্যক্ত ভবনের পাশে ছাপড়া ঘর তুলে থাকার চেষ্টা করলে, ঠিকাদারের লোকজন আমাদের সেখানেও থাকতে দিচ্ছেনা। তারা আমাদের সরে দিয়ে অনেক জায়গা জুড়ে টিনের বেড়া দিয়ে রেখেছে।

আপনারই বলেন, আমরা এখন কোথায় থাকবো। গ্রামে আমাদের কোন জায়গা জমি নেই। আনোয়ারের পুত্রবধু ময়না ও একই কথা বলেন। তবে তারা কিভাবে থেকেছেন জানতে চাইলে, ভাড়া ছাড়াই থেকেছেন বলে অকপটে স্বীকার করেন। এমনি ভাবে অবৈধভাবে বসবাসকারী অনেকেই একই কথা বলেন। তাদের দাবি, সরকার যেন রেলের সম্পত্তিতে তাদের নিজেদের দেয়া টিনের ঘর তুলে থাকার অনুমতি দেন। লিজ নিয়ে হলেও থাকতে চান।

তারা আরও বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পরিত্যক্ত ভবনের ইট পাথর নিতে বলেছে। তারা কেন আমাদের বসবাসের জায়গা টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখবে। টিনের বেড়া দিয়ে রাখার নাম করে পুরো জমি বেদখলে নিবে বলে তাদের ধারণা। এনিয়ে চলছে অবৈধ বসবাসকারী আর নিলামে নেয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব।

অপর দিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রোমান জানান, ভবনগুলি পরিত্যক্ত ঘোষনার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একাধিকবার অবৈধভাবে বসবাসকারীদের ভবন ছাড়ার নোটিশ করেন। স¤প্রতি মাইকিং করেন এবং নোটিশগুলি রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) বসবাসকারিদের থেকে স্বাক্ষর করে নেন। কিন্তু বসবাসকারিরা ভবন থেকে বের হলেও সুযোগ বুঝে আবার পাশেই টিনের চালা ঘর তুলে রাখে। এতে আমাদের ভবন ভাঙ্গার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে ভবন ভাঙনে ইট পাথর ছিটকে যাওয়া শুরু করলে ছোট শিশু বা বয়স্কদের শরীরে বা চোখে পাথরের টুকরো গিয়ে ক্ষতি হতে পারে, এটা ভয়ের কারন ভেবে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করি। ভবনের পাশে থেকে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করি। কারো সন্তান বা পরিবারের লোকজনের কোন শারিরিক ক্ষতি হলে এলাকাবাসি আমাদের ছাড়বেন কি?

এছাড়া ভাঙনকৃত মালামালগুলি রাখার জায়গা না থাকায় আমরা ভবনের উঠানে বসবাসকারিদের তাদের টিনের চালাঘর সরে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করি। তখন তারা সরে না গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ মিথ্যা অভিযোগ করতে থাকে। এছাড়া আমাদের জনবল কম হওয়ায় ভাঙনকৃত ইট পাথর চুরির হাত হতে রক্ষার জন্য ভবনের চারপাশে টিনের বেড়া দিয়ে মালামালগুলি রাখার ব্যবস্থা করলে অবৈধ বসবাসকারিরা আমাদের হয়রানি করতে বাহিরের এলাকা থেকে তাদের লোকজন ডেকে এনে বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করছে। এছাড়া মালামাল লুটপাট করতে না পারায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করছে।

রেলওয়ের জনৈক কর্মকর্তা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের বিধি মেনেই পরিত্যক্ত ভবন ভাঙ্গার কাজ করছে। তাদের মালামাল রক্ষার্থে টিনের বেড়া দেয়া অপরাধ নয়। কারো যাতায়াতের রাস্তাতো আর বেরিকেড দেয়নি। ভবন ভেঙ্গে ফেলানোর পর রেলওয়ে আবার নতুন ভবন করবেন! না লিজ দিবেন, না অন্য কিছু করবেন, এ সিদ্ধান্ত রেল কতৃপক্ষই নেবেন।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, রেলের কর্মচারীদের ৪ পরিবারের জন্য নির্মিত ভবন ফুলছড়ি কলেজের প্রভাষক মিল্টন একাই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করতেন। একইভাবে সাইদুর রহমান নামের জনৈক ব্যক্তি পুরো একটি ভবনে কোন প্রকার ভাড়া ছাড়াই অবৈধভাবে বসবাস করতেন। রেলওয়ের (অবসরপ্রাপ্ত) দুলাল দত্ত একটি ভবনের ৬টি রুম একাই দখল করে ছিলেন। মনিন্দ্র নাথের পরিবার একটি ভবন দখল করে থাকতো। এদের সবার গ্রামে অনেক জমিজমা থাকলেও দিনের পর দিন তারা রেলের সরকারি ভবন ও জমি বেদখল দিয়ে ভোগ করে আসছে। হঠাৎ রেল কর্তৃপক্ষ ভবন ভাঙ্গার নির্দেশ দেয়ায় তাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে।

তারা আরও বলেন, সরকারি সম্পত্তি নিয়ে কেহ মিথ্যা রাজনিতি করবে তা করতে দেয়া ঠিক হবেনা। সরকার প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাবে এটাও ঠিক নয়। অবৈধ দখলকারিদের উচ্ছেদ করে লিজ দিলে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পাবে। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

এ ব্যাপারে ভরতখালী ভুমি অফিসের তহশিলদার সুজন মাহমুদ জানান, ১৯৯০-১৯৯৫ ইং সালে রেকর্ড অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ের অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তি (বিআরএস) খতিয়ান অনুযায়ী ৭৪ দশমিক ৫২ একর। জায়গাগুলি ভরতখালী ষ্টেশনসহ আশেপাশের সাকোয়া-৩৩ দশমিক ৯৩ একর, উল্লা ভরতখালী ২৬ দশমিক ৭৩ একর ও মান্দুরা এলাকায় ১৩ দশমিক ৮৬ একর।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft