ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ার পর পাকিস্তানের এক তরুণী তার শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিষাক্ত লাসসি খাইয়ে দেয়ার পর তার স্বামী সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মুজফ্ফারগড় জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসিয়া বিবি নামে ওই তরুণীকে তার কথিত প্রেমিক সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর বিবিসির।
পুলিশ বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে আসিয়াকে জোর করে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। এর পর গত সপ্তাহে সে তার স্বামীকে বিষ মেশানো দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয় নি।
এর পর আসিয়া দই দিয়ে তৈরি লাসসিতে ওই বিষ মিশিয়ে দেয় এবং স্বামীর পরিবারের সবাইকে তা পরিবেশন করে – বলছে পুলিশ। বিষাক্ত লাসসি খেয়ে আসিয়ার স্বামীসহ ১৩ জন মারা যায় এবং অন্য ১৪ জন এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে – বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াইস আহমেদ।
ওয়াইস আহমেদ জানান, আসিয়া এবং তার কথিত প্রেমিক ছাড়াও এ পরিকল্পনায় সহায়তা করার অভিযোগে তার এক খালাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঈশ্বরদীতে বিষ খেয়ে শিশুপুত্রসহ মায়ের আত্মহত্যা
এর আগে ঈশ্বরদীতে স্বামীর ওপর রাগ করে দুই শিশুপুত্রের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পাপিয়া সুলতানা (৩০) নামের এক মা আত্মহত্যা করেছেন। এতে পাপিয়া ও তার এক ছেলের মৃত্যু হয়েছে। অন্য ছেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের বহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আশিকুর রহমান সাগর জানান, রাতে ঢুলটি গ্রামের এনজিও কর্মী মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী পাপিয়া সুলতানার ঝগড়া হয়। এর জের ধরে পাপিয়া তাদের দুই ছেলে ইমন (৪) ও জীবনকে (২) বিষ পান করিয়ে নিজেও বিষপান করেন। টের পেয়ে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাপিয়া ও তার ছোট ছেলে জীবনের মৃত্যু হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইমনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ জানান, ঈশ্বরদী থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।