উত্তর কোরিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা চালানোর যে হুমকি দিয়েছে তা থেকে যেন ‘সঠিক শিক্ষা’ গ্রহণ করা হয়। মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএন’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা রি ইয়ং-পিল এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, তার দেশ এ পর্যন্ত মুখে যা বলেছে বাস্তবে তাই করে দেখিয়েছে।
গতমাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং-হো ঘোষণা করেন, তার দেশ অদূর ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই সম্মেলনে দেয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়াকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে ফেলার হুমকি দেয়ার পরপরই রি ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বুধবার সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সর্বোচ্চ নেতার (কিম জং-উন) পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক অবহিত। কাজেই আমার মনে হয় তার বক্তব্যকে তিনি যেভাবে বলেছেন সেভাবেই গ্রহণ করা উচিত।’
রি ইয়ং-পিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে এবং এমনকি সামরিক মহড়াও চালাচ্ছে। তারা সকল ক্ষেত্রে আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। আপনি যদি ভেবে থাকেন এই প্রক্রিয়ায় কূটনৈতিক পন্থার দিকে এগুনো যাবে তাহলে আপনি চরম ভুলের মধ্যে রয়েছেন।’
উত্তর কোরিয়া গত জুলাই মাসে দু’টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের প্রায় সবখানে হামলা চালানো সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। উত্তর কোরিয়া দাবি করছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া একটি হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করেছে। সাধারণ পরমাণু বোমার চেয়ে এটি কয়েকগুণ শক্তিধর।
পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, যে হাইড্রোজেন বোমাটি তারা পরীক্ষা করেছে, সেটি কোনো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বহন করা যাবে। দাবি সত্যি হলে তা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের জন্য হবে ভয়ঙ্কর একটি উদ্বেগের বিষয়।