প্রকাশ্যে নগ্নতা আইনে নিষিদ্ধ, তবু এর মধ্যেই গড়ে উঠেছে একটি বিশেষ গ্রুপ বা সম্প্রদায়, যাদের বিশ্বাস নগ্নতায়। এটি আবার গড়ে উঠেছে জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায়।
বিবিসির ক্লারা রনদনুভু এই গ্রুপের কয়েকজনের সাথে সাক্ষাত করে কথা বলেছেন, তাদেরই একজন আদিত্য। তিনি বলেন, ‘যখন খুশী নগ্ন হতে আমি আনন্দ পাই। জামাকাপড় ছাড়া আমি বেশি খুশী ও আরামদায়ক বোধ করি।’ খবর বিবিসির।
বিবিসির সাথে কথা বলার সময় আদিত্য তার সত্যিকার নাম প্রকাশ করতে চাননি, কারণ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী এন্টি পর্নগ্রাফী আইন রয়েছে, যেখানে প্রকাশ্যে নগ্নতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আর সে কারণেই নগ্নতায় তার মতো আরো যারা বিশ্বাসী তারা গোপনেই সমবেত হন। নিজের বাড়িতে অনেক সময় তারা নগ্নই থাকেন,কাজ কর্মও করেন এভাবেই।
‘আমরা যে কোন সময় জেলে যেতে পারি যদি আমি নগ্ন ভাবে প্রকাশ্য হই। এ কারণেই আমরা সবকিছু ব্যক্তিগত পর্যায়েই করি’।
২০০৭ সাল থেকেই নগ্ন বাদী হয়েছেন তিনি এবং পরে ব্যাপক পড়াশোনা শুরু করেন নগ্ন বাদ নিয়ে। পরে যোগাযোগ শুরু করেন নগ্নতায় বিশ্বাসী অন্যদের সাথেও। তিনি জানান তাদের গ্রুপটি এখনো গ্রুপ বড় নয়, নারী পুরুষ মিলিয়ে ১০ থেকে ১৫ জনের মতো।
তারা বিভিন্ন সময়ে এক জায়গায় সমবেত হন। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আদিত্য মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ন্যুড গ্রুপে পোস্ট দিয়ে থাকেন।
তিনি জানান অনেকেই মনে করেন এক জায়গায় অনেকে শরীর অনাবৃত করলে অনেকে মনে করেন সেক্স পার্টি। ‘কিন্তু সত্যি হলো এখানে যৌনতার কিছু নেই’।
ইতিহাস গড়লেন ইন্দোনেশিয়ার নারী ডিজাইনার
নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে হিজাব স্টাইলে পোশাক প্রদর্শন করে ইতিহাস গড়লেন ইন্দোনেশিয়ার ডিজাইনার আন্নিসা হাসিবুয়ান। বিশ্বের জনপ্রিয় এই ফ্যাশন উইকে দুই দিক থেকে হাসিবুয়ান ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
প্রথমত তিনি প্রথম ইন্দোনেশিয়ান ডিজাইনার এবং একই সাথে হিজাব ডিজাইনার যিনি নিউইয়র্কের মতো সম্মানজনক ফ্যাশন ইভেন্টে প্রথমবারের মতো নিজের ডিজাইন করা পোশাক প্রদর্শন করেছেন।
তবে ২৮ বছর বয়সী হাসিবুয়ান যে এই প্রথমই কোনো ফ্যাশন উইকে পোশাক প্রদর্শন করছেন তা নয়। জনপ্রিয় ফ্যাশন সাময়িকী ভোগ জানায়, গত বছর লন্ডনে অনুষ্ঠিত ওয়েস্টফিল্ড ফেস্টিভালেও পোশাক প্রদর্শন করেছেন তিনি। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ক্যুচার ফ্যাশন উইকে তার পোশাক প্রদর্শিত হয়েছে। সেখানে হাসিবুয়ান সেরা ফ্যাশন ডিজাইনারেরও পুরস্কার জিতেছিলেন।
হিজাব পরিহিতা মডেলরা সোনালি, সবুজ আর পিচ রঙকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি হাসিবুয়ানের ডিজাইন করা পোশাক পরে র্যাম্পে হেঁটেছেন আত্মবিশ্বাসের সাথে।
প্রদর্শনী শেষে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানিয়েছেন তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনার হাসিবুয়ানকে। শুধু সম্মান পেয়েছেন তা নয়, তার ডিজাইনগুলো প্রশংসা কুড়িয়েছে সমালোচকদেরও।