আওয়ামী লীগ গুম-খুন-বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত মানুষ হত্যার কর্মসূচি অব্যাহত রেখে দেশকে বিরোধী দলশূন্য প্রতিবাদহীন বন্দিশালায় পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অদৃশ্য করা হয়েছে মানুষের সকল অধিকারসহ গণতন্ত্রকে। মানুষকে এখন নিয়মতান্ত্রিক সাঁড়াশিতে আটকে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী একটি দল। এরা বিরোধী মত সহ্য করাকে অপরাধ বলে মনে করে। আর সে জন্যই গুম-খুন-বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত মানুষ হত্যার কর্মসূচি অব্যাহত রেখে দেশকে বিরোধী দলশূন্য প্রতিবাদহীন বন্দিশালায় পরিণত করেছে। অদৃশ্য করা হয়েছে মানুষের সকল অধিকারসহ গণতন্ত্রকে।’
তিনি বলেন, ‘বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন প্রচারে বাধা দেয়ায় পরিষ্কার হয়েছে যে, সরকারপ্রধান ভারতে গিয়ে যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন তা দেশ ও জনস্বার্থবিরোধী।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধাদানে জনমনে সন্দেহ আরো তীব্র হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী সত্যি সত্যি দেশবিরোধী চুক্তি করেছেন। আর সেজন্যই তা লুকাতে রাষ্ট্র শক্তিকে ব্যয় করে বিরোধী সমালোচনাকে স্তব্ধ করে দিতে চাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘আমি বিএনপির পক্ষ থেকে দলের চেয়ারপারসনের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে বাধা সৃষ্টিকে সরকারের ন্যাক্কারজনক স্বৈরাচারী হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নববর্ষকে ঘিরে সরকার ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশ থেকে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে। যা তাদের অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারিতার অংশ বলে মনে করে বিএনপি। কারণ বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের মানুষের সকল অধিকার ভুলুণ্ঠিত করেছে। তাদের হুকুম ছাড়া যেন দেশের বে নিয়ন্ত্রণ করছে।’
রুহুল কবির বলেন, ‘আগামীকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সামাজিক সংস্থা (জাসাস) একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আমরা আশা করছি জাসাসের এই অনুষ্ঠানে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকার সম্মতি দেবেন।’