হাফিজ সাঈদ ও তার দল জামায়াত-উদ-দাওয়ার (জেইউডি) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত।
ভারতের দাবি, হাফিজ হলো মুম্বাই হামলার মূল চক্রান্তকারী। আর সেই হাফিজের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আনা অভিযোগ তুলে নেয়াটাকে মেনে নিতে পারছে না ভারত।
এদিকে পাঞ্জাব সরকারের একজন কর্মকর্তা শনিবার সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যালোচনা বোর্ডকে জানান, প্রাদেশিক সরকার নতুন আদেশে হাফিজ সাঈদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করেনি। এতদিন সন্ত্রাস বিরোধী আইন (এটিএ)-এ সাইদকে আটক রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলা প্রত্যাহার হওয়ায় সাঈদ ও তার চার সহকর্মীকে মুক্তি দিতে আদালতের কাছে অনুরোধ করেন সাঈদের আইনজীবী এ কে দোগার।
এর আগে সাঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার জন্য সরকারকে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি মুজাহির নাকবি। শিগগিরই লাহোর হাইকোর্ট সাঈদের আইনজীবীর আবেদনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে বিচারপতি নাকবি সরকারকে সাবধান করে দিয়েছিলেন যে জেইউডি প্রধান সাইদের বিরুদ্ধে মামলায় উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলে তাকে মুক্তি দিতে হবে।
পরে গত শুক্রবারে হাইকোর্টের বিচারকের চেম্বারে ব্যক্তিগতভাবে সাঈদের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ উপস্থাপনের প্রস্তাব দেয় সরকার এবং সাইদের বিরুদ্ধে মামলাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিবেচনায় তাকে মুক্তি না দিতে আদালতকে অনুরোধ করে।
সাঈদ ও জেইউডির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাকে গ্রেপ্তারের জন্যে এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গৃহবন্দী আছেন সাঈদ। তার আইনজীবী শুক্রবার আদালতকে বলেন, পাঞ্জাব সরকার সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়াই আবার হাফিজ সাঈদের গৃহবন্দীত্বের মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত সাঈদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেনি।