
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আন্তর্জাতিক চাপে মায়ানমার সুর নরম করলেও এটা তাদের আসল রূপ নয়।
শুক্রবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘আপনারা মায়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন। এখানে যারা এসেছে, এদেরকে আপাতত অন্যান্য দেশে স্থানান্তরিত করুন। এই বোঝা আমরা আর বইতে পারছি না। আমাদের পক্ষে অসাধ্য হয়ে গেছে।’
সেতুমন্ত্রী এও বলেন, ‘এখনো স্রোত আসছে, অপ্রতিরোধ্য স্রোত রোহিঙ্গাদের। আমরা কোথায় রাখব। আমাদের এখানে সামাজিক বিপর্যয়, রাজনৈতিক বিপর্যয়, অস্ত্র আসছে। কে না জানে এখানে রোহিঙ্গা স্রোতের সঙ্গে ইয়াবা স্রোত আসছে। কাজেই এটা আমাদের সামাজিক জীবনে সাংঘাতিক একটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। আমাদের জনজীবনের প্রভাব অত্যন্ত ডেনজারাস (বিপজ্জনক)।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করেনি। মায়ানমারে বসনিয়া ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, হরতাল নামের অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক হাতিয়ারকে অপপ্রয়োগ করতে করতে এরা ভোঁতা বানিয়ে দিয়েছে। এখন জনগণ আর হরতাল সাড়া দেয় না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হরতালে কোথাও কোনও পিকেটার নেই। হরতালের চিহ্নমাত্র নেই। বিএনপি-জামায়াতেরা এখন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধেও হরতাল ডাকে। ফলে এটা অপব্যবহার করতে গিয়ে তা ভোঁতা হয়ে গেছে।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধরণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও পৌর সভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেতুমন্ত্রী উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবির ১, ২ এবং বালুখালী ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করেন। সেখানে তিনি প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।