1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে প্রশাসনের অসৌজন্যমূলক আচরণ অভিযোগে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি-গণঅধিকার পরিষদের অনুষ্ঠান বর্জন পলাশবাড়ীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন গাইবান্ধায় মহান বিজয় দিবসে বিজয়স্তম্ভে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা বিজয় দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় ছাত্রশিবিরের সাইকেল র‌্যালী গোবিন্দগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কর্তৃক তারাগঞ্জ থানা দ্বি বার্ষিক পরিদর্শন অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে বীজ সংরক্ষণাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন গাইবান্ধায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের প্রতিবন্ধী ও পঙ্গু ব্যক্তিদের হুইল চেয়ার বিতরণ সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবী লটারির তালিকা পরিবর্তনের অভিযোগ তারাগঞ্জে ভিডব্লিউবি চাল বিতরণে অনিয়ম

নিষেধাজ্ঞায় ভালো ফল আসবে না: হুঁশিয়ারি মিয়ানমারের

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানের জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা কারও জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ টুন টুন নাইং এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদনে বুধবার জানানো হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশের ওপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর থেকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছে। সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়েছে। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও রোহিঙ্গা মুসলিমরা রাখাইন ছেড়ে পালাচ্ছে।

আক্রমণাত্মক অভিযানে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে আসার ঘটনায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মিয়ানমার টাইমস বলছে, ‘যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তাহলে কয়েক বছরের উন্নয়নের পর দেশটির বর্তমান অর্থনীতিকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

‘মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এটা ভালো কোনো লক্ষণ নয়। নিষেধাজ্ঞা আরোপের অর্থ হচ্ছে কোনো দেশকে অর্থনৈতিকভাবে অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাধা দেয়া। তারা আমাদের অবাধ ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকার ও দেশের সঠিক উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে এবং এটা ভালো কিছু নয়’-বলেন ইউ তুন তুন নাইং।

মিয়ানমারের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তাহলে অর্থনীতির ওপর সরাসরি কোনো প্রভাব পড়বে না। বাণিজ্য এবং সহযোগিতার মাত্রা কম থাকায় এতে কোনো সমস্যা হবে না।

তবে জাতিগত শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দেশটিকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এটি দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

মিয়ানমার টাইমস বলছে, মিয়ানমার এখনও গণতান্ত্রিক যাত্রা ও জাতীয় ঐক্যের পথে শুরুর দিকে রয়েছে। তুলনামূলকভাবে দেশটির অর্থনীতি দ্রুত অগ্রগতি লাভ করছে। আগের বছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে; যা ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে নতুন বিনিয়োগ আইন কার্যকর করা হয়েছে এবং শিগগিরই নতুন কোম্পানি আইনও অনুমোদন পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এছাড়া বেশ কিছু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও গভীর সমুদ্র বন্দরে বড় ধরনের বিনিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ফলে নতুন নতু কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে এসব কিছুই বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখপাত্র ইউ জ্য হতেই বলেন, ‘কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে সেটি কোনো ব্যাপার নয়; তবে গণতন্ত্রের রূপান্তর, অভ্যন্তরীণ শান্তি বজায় রাখা এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা পশ্চিমাদের উচিত হবে না।

মিয়ানমার টাইমস বলছে, দেশীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, পূর্ববর্তী প্রশাসন থেকে বর্তমান সরকার, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠী অভ্যন্তরীণ শান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। তবে জাতিগত, ধর্মীয় এবং সামরিক বিষয়গুলো এখনো অত্যন্ত সংবেদনশীল।

দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ইউ ইয়ে মিন ওও বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও অনৈক্য দেখা দিতে পারে।

ইউ তুন তুন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে মিয়ানমারের অর্থনীতিতে তা সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিয়ানমারের ব্যবসা-বাণিজ্য সীমিত। চীন, জাপান, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের তুলনায় ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য কম হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের অর্থনীতির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারবে না। সূত্র: মিয়ানমার টাইমস।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft