1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ন
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে প্রশাসনের অসৌজন্যমূলক আচরণ অভিযোগে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি-গণঅধিকার পরিষদের অনুষ্ঠান বর্জন পলাশবাড়ীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন গাইবান্ধায় মহান বিজয় দিবসে বিজয়স্তম্ভে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা বিজয় দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় ছাত্রশিবিরের সাইকেল র‌্যালী গোবিন্দগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কর্তৃক তারাগঞ্জ থানা দ্বি বার্ষিক পরিদর্শন অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে বীজ সংরক্ষণাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন গাইবান্ধায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের প্রতিবন্ধী ও পঙ্গু ব্যক্তিদের হুইল চেয়ার বিতরণ সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবী লটারির তালিকা পরিবর্তনের অভিযোগ তারাগঞ্জে ভিডব্লিউবি চাল বিতরণে অনিয়ম

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব চীনের

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশকে দূরে না সরিয়ে দিয়ে মায়ানমারে নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য চীন এখন রাখাইনে সৃষ্ট মানবিক ও রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার অবস্থান তৈরি করছে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চীন ১৫০ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শুধু মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশের ওপর শরণার্থীর চাপ কমাতে এই ত্রাণ পাঠায়।

রাখাইন ইস্যু শুরু হওয়ার পর থেকে বেইজিং রাজনৈতিকভাবে মায়ানমারের পাশে থাকার নীতি গ্রহণ করে। পশ্চিমা দেশগুলো মায়ানমারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ চালানোর মত কঠিন অভিযোগ তুললেও চীন সমসময় তাদেরকে সমর্থন করে আসছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কং ৩০ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বাস্তুচ্যুত লোকজনকে পুনর্বাসনে বাংলাদেশ যে অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে তা নিয়ে চীন বিশেষভাবে চিন্তিত। পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে চীন সরকার বাংলাদেশকে জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

অন্যদিকে, মায়ানমারের উপর কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা না হয় তা নিশ্চিত করেছে বেইজিং। নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব ইতোমধ্যে জাতিসংঘে উঠেছে।

২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম বিতর্কের সময় মায়ানমারের পক্ষ নেয় চীন এবং মানবিক সংকটের পূর্বাপর সম্বন্ধের কথা বলে।

জাতিসংঘে চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত উ হায়াতে উল্লেখ করেছেন যে রাখাইন রাজ্যের সংকটের সঙ্গে জটিল ঐতিহাসিক, জাতিগত এবং ধর্মীয় ফ্যাক্টরের যোগসূত্র আছে। ফলে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ হবে না।

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গা সংকটের কেন্দ্রবিন্দু। গত ২৫ আগস্ট কথিত ‘আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’ (এআরএসএ) ৩০টি পুলিশ পোস্ট আক্রমণ করে। এর জের ধরে মায়ানমার সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে শুদ্ধি অভিযান শুরু করলে পাঁচ লাখের বেশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

রাখাইন রাজ্য চীন ও ভারত উভয়ের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি রাখাইনের কিয়কফিউ’তে গভীর সমুদ্র বন্দরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবেশাধিকার পেতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে চীন। দেশটির উচ্চাভিলাসী অবকাঠামো বিনিয়োগের অংশ হিসাবে এই তৎপরতা চলছে বলে মায়ানমারের সংবাদ মাধ্যম ইরাবতী উল্লেখ করে।

কিয়কফিউ’তে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (স্পেশাল ইকনোমিক জোন) করার জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প প্রস্তাব করেছে চীন। এছাড়া, বেল্ট এবং রোডের উদ্যোগের অংশ হিসেবে চীন একটি রেলসড়ক স্থাপন করতে চায়, যা চীনের ইউনান প্রদেশকে মায়ানমারের বঙ্গোপসাগর উপকূলের সঙ্গে যুক্ত করবে।

অন্যদিকে, রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিত্তুই’য়ে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তুলছে ভারত। যা তাদের স্থলবেষ্টিত উত্তরপূর্ব-অঞ্চলকে সমুদ্রপথের সাথে যুক্ত করবে।

সঙ্কট জটিল হওয়ার সাথে সাথে মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেয় চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, চীন নিজস্ব উপায়ে শান্তি আলোচনার চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক, এবং আশা করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংকট দূর করতে এবং সংলাপের জন্য একটি গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

চীনের মধ্যস্থতার প্রস্তাব এবারই প্রথম নয়। গত এপ্রিলে চীনের এশিয়ান এফেয়ার্স বিষয়ক দূত সান গুশিয়াং বাংলাদেশ সফরকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনে সাহায্যের কথা বলেন।

চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের জিয়াংয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মায়ানমার বিশেষজ্ঞ ফ্যান হোংওয়েই সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, রাখাইন রাজ্যে স্থিতিশীলতা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাখাইনের অবস্থা এখন যেমন খারাপ তা চলতে থাকলে সেখানে প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ সত্যিই বর্ণহীন হয়ে পড়বে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft