
৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট ছিল ২৮২ রান। কিন্তু বৃষ্টি আইনে সেটি ২১ ওভারে তাদের করতে হবে ১৬৪ রান। ওভারের সংখ্যা দেখে মনে হতে পারে টি-টোয়েন্টি। যদিও স্বল্প ওভারের ম্যাচের চেয়ে এক ওভারের বেশি। কিন্তু সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ চাপে পাড়ে সফরকারীরা। তবে সে চাপ শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাগতিকদের কাছে ২১ রানে হেরেছে সফরকারীরা।
সোমবার চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। এদিন ৫ রান করে নাইলের বলে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দেন আজিঙ্কা রাহানে। নাইলের দ্বিতীয় শিকার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কোনো রান করার আগেই এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের ক্যাচ অসাধারণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
এরপরই শুরু হয় আরও কঠিন বিপর্যয়। মাত্র ৮৭ রানেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। লড়াইয়ের মতো রান তো দূরের কথা সফরকারীদের বিপক্ষে তখন লজ্জায় পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ঠিক সেখান থেকে ভারতকে খেলায় ফেরালো হার্দিক পাণ্ডিয়ার আগ্রাসী ব্যাটিং। ঠিক যেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন। তবে ওটা ছিল একপেশে। আশা ছিল না। সেদিন কাউকে পাশে পাননি। এদিন পেলেন সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ১১৮ রানের জুটিই মূলত খেলায় ফেরায় ভারতকে। পরে ধোনি-ভুবনেশ্বর কুমার মিলে সপ্তম উইকেটে যোগ করলেন ৭২ রান। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮১ রানের সংগ্রহ পেল ভারত।