
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একই ব্যক্তি প্রাইমারী ও হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করছেন। তারমধ্যে প্রাইমারী স্কুলে নিচ্ছেন ক্লাস এবং হাই স্কুলে ক্লাস না নিয়ে হাজিরা খাতায় দিচ্ছেন স্বাক্ষর। এ তথ্য ফাঁস হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, সাঘাটা উপজেলার বারকোনা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোতাহারুল ইসলাম কয়েক বছর আগে একটি প্রাইমারী স্কুলে পুল শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। সবার অজান্তে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের যোগ সাজসে কখনো প্রাইমারী স্কুলে আবার কখনো হাই স্কুলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পুল শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয়করণ করলে তিনি কৈচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত। কিন্তু শিক্ষক মোতাহারুল ইসলাম যেকোন একটি চাকুরী ইস্তফা না দিয়ে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ বহাল রেখেছেন।
এ ক্ষেত্রে তিনি হাই স্কুলে শুধু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং প্রাইমারী স্কুলে নেন ক্লাস এবং ঠিকই বেতন ভাতা তুলছেন দুই প্রতিষ্ঠনেরই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মোটা অংকের ডোনেশন দিয়ে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে অভিজ্ঞতা বলে মোতাহারুল ইসলাম বারকোনা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নিবেন। এজন্যই তিনি এই চাকুরী থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না।
এ তথ্য ফাঁস হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মোতাহারুল ইসলাম কোন মন্তব্য করেননি।
অপরদিকে, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রভাস চন্দ্র জানান, এ বিষয়ে অদ্যাবধি কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ কারণে আমি অবগত নই। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ হলে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।