
আজ সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বোয়ালধার ফতেপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারপিট করে হত্যার পর আমগাছে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়্রায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বোয়ালধার ফতেপুর গ্রামের নূর ইসলাম এর ছেলে রেজাউল সাথে একই উপজেলার চাড়োল গ্রামের নাজিম উদ্দীনের কন্যা নাসরিন আকতার (২০) এর সাথে চলতি বছরের ১৭ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকে রেজাউলের পরিবারের লোকজনের নাসরিনের নিকট যৌতুকের দাবি করে। যৌতুক পরিশোধ না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাঁধ সাজে।
নাসরিনকে তার শ্বাশুড়ী বিয়ের পর থেকে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এতকিছু ঘটনার পরও নাসরিন তার বাবাকে জানায়নি। গতকাল রবিবার দুপুরে নাজিম উদ্দীন তার মেয়ের বাড়িতে রুটি ও মাংস নিয়ে জামাই বাড়িতে আসে এবং জামাইকে ঈদের দাওয়াত দেয়।
নাসরিনের স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা তার মেয়ের সাথে দেখা করতে দেয়নি। বিকালে তার পিতা বাড়িতে চলে যায়। রাত ৮ টায় রেজাউলের দুলাভাই নাসরিনের বাবার বাড়িতে নাসরিন কে খোঁজার জন্য আসে। এসে বলে, তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ খবর শোনার পর নাসরিনের পরিবারের লোকজন রাত ২ টা পর্যন্ত খোঁজা-খোঁজি করে রেজাউলের বাড়িতে গেলে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি।
আজ সোমবার ভোর ৬টায় নাসরিনের বাবাকে মুঠো ফোনে সংবাদ দেয়, নাসরিন আমগাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ নাসরিনের শয়ন ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ দেখতে পায় এবং পায়ে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যার পর গোসল করে বাড়ির উত্তর পার্শ্বে অর্ধ কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরে ধারে আমগাছে ফাঁস লাগিয়ে দেয়। ঘটনাটিকে অত্মহত্যাসহ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত কারার জন্য একটি মহল বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে।
নাসরিনের বাবা নাজিম উদ্দীন জানান, আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকা পরিশোধ না হওয়ায় হত্যা করেছে এবং আমার মেয়েকে দেখতে গেলেও দেখতে দেয়নি। বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।