
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
স্কোর: বাংলাদেশ ৭৮.৫ ওভারে ২৬০/১০।
রিভিউ নিয়ে নাসিরকে ফেরাল অস্ট্রেলিয়া: দুই বছর পর টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে চাপের মুখে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই খেলছিলেন নাসির। কিন্তু রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশটন অ্যাগারের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২৩ রান করেন নাসির। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৮ উইকেটে ২৪৬।
বিতর্কিত সিদ্ধান্তে থামল মিরাজের লড়াই: নাথান লায়নের লেগ স্টাম্পের বল ডিভেন্স করতে চেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু বল তার প্যাডে লেগে উঠে গেল শূন্যে। শর্ট লেগে দাঁড়ানো পিটার হ্যান্ডসকম্ব বল ধরতেই আবেদন করলেন সফরকারী খেলোয়াড়রা। আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার আলিম দার। মিরাজ নিতে চেয়েছিলেন রিভিউ, কিন্তু দুটি রিভিউ শেষ হয়ে গেছে আগেই! কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অসহায় হাসিতে মাঠ ছাড়লেন মিরাজ। টিভি রিপ্লে দেখে বোঝা গেল তার হাসির রহস্য, বল যে ব্যাটেই লাগেনি! রিভিউ নিতে পারলেই বেঁচে যেতেন। মিরাজ ১৮ রান করে ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৪০।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু: মিরপুরে ৩টা ৪০ মিনিটে নামা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি থামার পর ৪টা ১৫ মিনিটে আবার শুরু হয় খেলা।
মুশফিকের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ: অ্যাশটন অ্যাগারের অফ স্টাম্পে পিচ করা বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল আঘাত হানে প্যাডে। অসি খেলোয়াড়দের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার নাইজেল লং। মুশফিক রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ১৮ রান করে ফেরেন অধিনায়ক। তখন ১৯৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। উইকেটে এসে মুখোমুখি প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
হলো না সাকিবের সেঞ্চুরি: সেঞ্চুরিটা হলো না সাকিবের। চা বিরতির দুই ওভার আগে ব্যক্তিগত ৮৪ রানে নাথান লায়নের বলে স্লিপে স্টিভ স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৩৩ বলে ১১ চারে ইনিংসটি সাজান সাকিব। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ১৮৮। সাকিবকে ফিরিয়ে রিচি বেনোর ২৪৮ উইকেট ছুঁয়েছেন লায়ন। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের মধ্যে তার ওপরে আছেন কেবল শেন ওয়ার্ন (৭০৮ উইকেট)।
তামিমের বিদায়ে ভাঙল বড় জুটি: গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অফ স্টাম্পের বলে কাট করতে চেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু বল ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে উঠে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে ভুল হয়নি ডেভিড ওয়ার্নারের। তামিমের বিদায়ে ভাঙে সাকিবের সঙ্গে তার ১৫৫ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। ১৪৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭১ রান করেন তামিম। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ১৬৫।
তামিম-সাকিব জুটির দেড়শ: চতুর্থ উইকেট জুটিতে দেড়শ রান পূর্ণ করেছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ৪৫ ওভার শেষে তামিমের রান ৭১, সাকিবের ৭৫, আর বাংলাদেশের ৩ উইকেটে ১৬৫।
জীবন পেলেন তামিম: জশ হ্যাজেলউডের বলে ডাইভ করেছিলেন তামিম। বল সোজা চলে যায় বোলারের হাতে। ভাগ্য ভালো তামিমের, হ্যাজেলউড বল জমাতে পারেননি হাতে। ৬২ রানে জীবন পান তামিম।
পঞ্চাশে তামিমেরও ফিফটি: নাথান লায়নকে টানা ছক্কা-চার হাঁকিয়ে তামিম ৩৯ থেকে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৪৯ রানে। পরের ১ রান করতে তামিম খেললেন আরো ৪ বল। প্যাট কামিন্সের বল স্কয়ার লেগে ঠেলে ১১৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এটি তামিমের ২৩তম টেস্ট ফিফটি। সাকিবের পর তামিমও তার ৫০তম টেস্টে ফিফটি করলেন।
তামিম-সাকিব জুটির সেঞ্চুরি: নাথান লায়নের বলে ২ রান নিয়ে সাকিব পূর্ণ করেছিলেন তামিমের সঙ্গে তার চতুর্থ উইকেট জুটির ফিফটি। সেই লায়নের বলে ১ রান নিয়ে সাকিবই পূর্ণ করলেন জুটির সেঞ্চুরি। সাকিবের রান তখন ৫৬, তামিমের ৩৯।
পঞ্চাশে সাকিবের ফিফটি: নিজের ৫০তম টেস্টে ফিফটি করেছেন সাকিব আল হাসান। অ্যাশটন অ্যাগারের বল থার্ডম্যানে পাঠিয়ে ২ রান নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এটি সাকিবের ২২তম টেস্ট ফিফটি। ৬৫ বলে ফিফটি করতে ৭টি চার হাঁকান সাকিব।
বাজে শুরুর পর তামিম-সাকিবের প্রতিরোধ: শুরুটা হয়েছিল ভীষণ বাজে। ১০ রানেই পড়েছিল ৩ উইকেট! এরপরই প্রতিরোধ গড়েছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। সাকিব শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক। তামিম পুরো টেস্ট মেজাজে খেললেও নাথান লায়নকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে হাঁকিয়েছেন দারুণ দুটি ছক্কা। লাঞ্চের আগে ৮৬ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন দুজন। ফিফটি থেকে দুই রান দূরে আছেন সাকিব (৬২ বলে ৪৮), তামিমের রান ৯১ বলে ৩৩। লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৬।
তামিম-সাকিব জুটির ফিফটি: দুজনই খেলতে নেমেছেন তাদের ৫০তম টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু তামিম ও সাকিব যখন জুটি বাঁধলেন, ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে দল। সেখান থেকে দুজন ধরলেন দলের হাল, গড়লেন প্রতিরোধ। ২১তম ওভারে নাথান লায়নের প্রথম বলে সাকিবের টপ-এজ হয়ে বল উঠে গেল আকাশে। ভাগ্য ভালো; বল পড়ল ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’। এই বলে ২ রান নিয়েই পূর্ণ হলো তামিম-সাকিব জুটির ফিফটি। সাকিবের রান তখন ৩২, তামিমের ১৭, আর বাংলাদেশের ৩ উইকেটে ৬১।
শূন্য রানেই ফিরলেন ইমরুল-সাব্বির: সৌম্যের বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি ওয়ানডাউনে নামা ইমরুল কায়েস। মাঠে নেমে ৬টি বল মোকাবেলা করলেও প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে শূন্য রানে ফিরতে হয়েছে তাকে। ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর উইকেটে নেমে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি হলেও সাকিব মাঠে নেমে সেটি হতে দেননি।
হতাশ করলেন সৌম্য: বাংলাদেশ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। প্যাট কামিন্সের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে গালিতে পিটার হ্যান্ডসকম্বের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আর তাতেই ব্যক্তিগত ৮ রানে দিনের শুরুতে সাজঘরে ফিরে সমর্থকদের হতাশা উপহার দিলেন সৌম্য।
টস: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া দল: স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাথু রেনশ, উসমান খাজা, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু ওয়েড, অ্যাশটন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন, জশ হ্যাজেলউড।
তামিম-সাকিবের ৫০: নিজেদের ৫০তম টেস্ট খেলতে নামছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে এ মাইলফলক ছুঁয়েছেন হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং মুশফিকুর রহিম।
১১ বছর পর দুই দলের টেস্ট সিরিজ: ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ১১ বছর পর আবারও সাদা পোশাকে মাঠে নামছে দুই দল।
অস্ট্রেলিয়া ৪-০ বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ।
‘অভিষেক’ ২২ ক্রিকেটারের! ২০০৬ সালের পর দুই দল প্রথম টেস্ট খেলছে। দুই দলের ক্রিকেটাররাই একে অপরের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে। এক অর্থে দুই দলের ক্রিকেটাদের আজ ‘অভিষেক’ হচ্ছে।
সাকিবের পাঁচ উইকেটের অপেক্ষা: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নামছেন সাকিব আল হাসান। অস্ট্রেলিয়া বাদে সবগুলো টেস্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলে চতুর্থ বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়বেন সাকিব। মুত্তিয়া মুরালিধরন, ডেল স্টেইন এবং রঙ্গনা হেরাথ সবগুলো টেস্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।