আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ঘণ্টায় ১৩০ মাইল বেগে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হার্ভে’। গত ১২ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা হারিকেনগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ‘হার্ভে’ আঘাত হানে।

২০০৪ সালের পর ‘হার্ভে’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা ক্যাটাগরি-৪ হারিকেন। এর মাধ্যমে আসন্ন দিনগুলোতে (অন্তত এক সপ্তাহ) টেক্সাসবাসীর জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতির সূচনা বলে উল্লেখ করেছে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস। এর ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়বে পাশ্ববর্তী লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কিছু অংশেও।

বৃহস্পতিবার হঠাৎই ঘূর্ণিঝড়টি হারিকেনে রূপ নেয়। দ্রুতই এটি ক্যাটাগরি-১ হারিকেন থেকে ক্যাটাগরি-২ এ রূপান্তরিত হয়। এর গতি প্রকৃতি দেখে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন, ক্যাটাগরি-৩ হয়ে ‘হার্ভে’ টেক্সাস উপকূলে আঘাত হানবে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা পাল্টে সামুদ্রিক ঝড়টি আরো শক্তিশালী ক্যাটাগরি-৪ এ রূপান্তরিত হয়ে টেক্সাসে আঘাত হানলো।

যদিও আগেই ঝড়ের গতিপথে থাকা প্রায় ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে ‘প্রাণঘাতী’ তকমা পাওয়া ঘূর্ণিঝড়টি যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত ঝড়াবে তা থেকে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘হার্ভে’র প্রভাব কিছু জায়গায় ৪০ ইঞ্চি, কিছু জায়গায় ৩৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে।

এরইমধ্যে এক লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।