গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্বক অবনতি হয়েছে। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ ভায়া-ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বর বন্যা কবলিত হয়ে পরেছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে গোবিন্দগঞ্জ পৌর সভার ৩ টি ওয়ার্ড। কাচা-পাকা সড়কের উপর দিয়ে পানি ওঠায় চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। উপজলার ১৪ টি ইউনিয়ন লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে দুর্ভোগে পরেছে। এসব ইউনিয়নের ২শ ৫০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বন্যার্তদের সাহার্যাথে ৩টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে ত্রান বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।এদিকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামের করতোয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান গ্রাম বাসীকে সাথে নিয়ে বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করেন। খবর পেয়ে গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীলাব্রত কর্মকার ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ শরিফুল ইসলাম রতন, দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু রুশদ মোঃ শরিফুল ইসলাম জর্জ, তালুককানুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহামন আতিক উপস্থিত ছিলেন। চর বালুয়া গ্রামবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য অদ্যক্ষ আবৃুল কালাম আজাদ ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড সহ উপজেলার কানুপুর, দরবস্ত, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।