1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

নড়াইলে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে বাড়তি আয় করছেন নারীরা

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

জেলায় পাটের আঁশ ছাড়িয়ে বাড়তি আয় করছেন নারীরা। এবছর সাড়ে ৩৬ হাজার নারী পাটের আঁশ ছাড়িয়ে বাড়তি আয় করছেন। ঘুচিয়েছেন মৌসুমি বেকারত্ব, সংসারে এসেছে সচ্ছলতা।
কৃষক ও নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা আঁশ ছাড়িয়ে ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা আয় করছেন নারীরা। অনেকে এর বেশিও আয় করছেন। প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্তু চার মাস এ কাজের সুযোগ থাকে। এ বছর পাটের আবাদ বেশি এবং ফলনও ভালো হওয়ায় কৃষক, মজুর, ব্যবসায়ী সবাই খুশি। এখানকার ভৌগোলিক অবস্থা পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। অসংখ্য খাল-বিল, জলাশয় ও নদী থাকায় এবং এবার প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ বছর পাটের জাগ দিতে কৃষকের কোনো সমস্যা হয়নি।
জানা গেছে, পাটের আঁশ ছাড়ানো ও শুকানোর কাজে বেশি অংশগ্রহণ নারীদের। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গৃহবধূরাও এ কাজে অংশ নিচ্ছেন। নড়াইল সদরের ধোপাখোলা ও কাড়ার বিল এলাকায় রাস্তার দুই পাশের বিলে প্রতি বছর কয়েকশ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। প্রচুর উন্মুক্ত জলাশয় থাকায় কৃষকরা জুলাই থেকে এখানে পাটের জাগ দেয়া শুরু করেন। এ সময় থেকে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েকশ নারী পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে অংশ নিতে আসেন। সংসারের নিয়মিত কাজের পাশাপাশি তারা এ কাজ করে বাড়তি আয় করেন। এ কাজে অংশগগ্রণকারী নারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাগ দেয়া পাট খাল থেকে তুলে আঁশ ছাড়ানোর কাজটা করেন তারা। মালিক আঁশ নিয়ে যান আর তারা নেন পাটকাঠি। পরে সেই পাটকাঠি তারা শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। অনেক কৃষক আবার নারী শ্রমিকদের নগদ মজুরি দেন। ২০-৩০টি পাট দিয়ে একটি আঁটি বাঁধা হয়। এক কুড়ি (২০ আঁটি) পাটের আঁশ ছাড়ালে নারী শ্রমিকরা পান ৩৫-৪০ টাকা। একজন নারী দিনে ৫-৭ কুড়ি পাটের আঁশ ছাড়াতে পারেন। সদরের মুলিয়া সড়কের রাস্তার দুপাশে প্রতিদিন শত শত নারী এ কাজ করেন।
কাজ করতে আসা শহরের দক্ষিণ নড়াইলের দিঘির পাড় এলাকার রহিমা বেগম বলেন, প্রতি বছর এ মৌসুমে তিন-চার মাস এ কাজ করেন। এ বছরও প্রায় দেড় মাস ধরে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্তু কাজ করে দৈনিক তার আয় হয় ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। আরো দুই মাস কাজের সুযোগ আছে বলে জানান তিনি।
ধোপাখোলা গ্রামের দুর্গা রানী জানান, প্রতি বছর প্রায় ৫০০ নারী নড়াইল-গোবরা সড়কের দুই পাশে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করেন। এই করে তাদের সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।
নড়াইল-মাগুরা সড়কের ময়নখোলা এলাকায় চিত্রা নদীর পাশে এক স্থানে বসে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করেন প্রায় ৬০ জন নারী। এখানে ময়নখোলা গ্রামের আফরোজা বেগম জানান, তারা আঁশ ছাড়ানোর পর পাটকাঠি নিয়ে যান। পুরো মৌসুমের পাটকাঠি জড়ো করে বাজারে বিক্রি করেন। গত বছর তিনি ৪২ হাজার টাকার পাটকাঠি বিক্রি করেছেন বলেও জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ আমিনুল হক জানান, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার ৩৬ হাজার ৪৫০ জন নারী পাট ছাড়ানোর কাজ করছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১০ হাজার ৭০০, লোহাগড়া উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০০ এবং কালিয়া উপজেলায় ৭ হাজার ২৫০ জন। পাট উৎপাদন বেশি হলে গ্রামের এসব খেটে খাওয়া নারীর মৌসুমি আয় আরো বাড়বে বলে তার আশা করে তিনি।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান মুন্সি বলেন, পাট পচানোর পর এক ধরনের গন্ধ হয়। তাতে শ্রমিকদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। এটা ক্ষতিকর নয়। তবে যারা প্রতিদিন এ কাজ করেন, তাদের মুখে মাস্ক পরা উচিত।সূত্র- বাসস

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft