গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। সোমবার বিকেল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পাউবো সূত্রে জানা যায়। অবিরাম বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে পানির চাপ বাড়তে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুকিপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে সেনাবাহিনীর তদারকিতে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। সোমবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া এলাকা পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাঁধ রক্ষার কাজে তদারকি শুরু করেন। সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ ডিভিশনের লে: কর্ণেল মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৮৫ জন সেনা সদস্য এই এলাকায় কাজ করছেন।
এরআগে সোমবার সকালে বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করায় বাঁধ ধ্বসের আশংকায় বাঁধ সংলগ্ন লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার আহবান জানিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাঁধে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে সোমবার সকালে ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এক আদেশে উপজেলার বন্যা কবলিত ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সিংড়িয়া গ্রামের বাহার খান (৫৫) বলেন, গতরাতে আতংকে খেতে পারিনি। সারারাত জেগে ছিলাম। ভোর হওয়ার সাথেই ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। এখন ক্ষুধা লেগেছে, রাতে পানি দিয়ে রাখা ভাত এখন খাচ্ছি। কোথায় যাবো, কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। একই গ্রামের জোসনা বেগম (৩৫) বলেন, ভাঙ্গন আতংকে সকালেই বাঁধে এসে আশ্রয় নিয়েছি। মেয়েকে তার নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার স্বামী ঢাকায় এখন অসুস্থ্য শ্বাশুড়ীকে নিয়ে বিপদে পড়েছি। রাতে কোথায় থাকবো, ভেবে