গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গত ক’দিনের ঘন বর্ষনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নি¤œ অঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে এবং কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তার উপরের ধাপেরহাট-তরফমহদি রাস্তার নলেয়া নদীর উপর নির্মীত লালমাটির ঘাট ব্রীজটি এখন হুমকির মুখে। বৃদ্ধি পেয়েছে নলেয়া ও আখিরা নদীর পানি কয়েক গুন। লাল মাটির তৈরি কাঁচা ঘর বাড়ি ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং গ্রামীন রাস্তাঘাট গুলো চলা চলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।পালান, পাড়া, তাতীপাড়া, আলীনগর, বড়ছত্রগাছাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫০০০ হেক্টর আবাদী জমির ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে। প্রায় ৩০ জন মৎস চাষীর পুকুরের মাছ বন্যায় ভেসে গেছে। হাতির ছালা বিলের প্রায় ১০ একর জমির ফসল কচুরি পানার নিচে পড়ে আছে। কচুরি পানা জমাট বেধে পানির ¯স্রোতবন্ধ হয়ে পড়ায় নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে নতুন নতুন এলাকায়। সে কারনে প্লাবিত হয়েছে দুটি গ্রাম। সোমবার দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়ে পুর্ব নিজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। এলাকার সমস্য সমাধানের জন্য তিনি স্বেচ্ছা সেবক টিম গঠন করে ঐ কচুরি পানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত যাতায়াতের রাস্তায় দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন এবং হুমকির মুখে পড়া লালমাটির ঘাট ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য আশ্বাস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৬নং ধাপেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নওশা মন্ডল,আমবাগান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র সরকার,সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম,আব্দুল মালেক সাজু, ইউপি সদস্য শাহাদৎ হোসেন,সাইফুল ইসলাম,ইউনুছ আলী,আতোয়ার রহমান ও নারী সদস্য লাইলী বেগম।নিচের ছবিতে লোকজন দ্বরিয়ে আছে এটি উচু জায়গা নয়,ব্রীজের মুখে এ ভাবেই কচুরি পানা জমাট বেধে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে আছে।