
শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের বন্ধু। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে খুব অল্প সময় পেলেও ক্রীড়াঙ্গনের অনেক অবদান রয়েছে শহীদ শেখ কামালের। শেখ কামালের ৬৮তম জন্মবার্ষিকীতে ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অবদানকে স্মরণ করে আজ বিকেলে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে এক স্মরণসভার আয়োজন করে ক্রীড়া সংগঠকদের ব্যানারে সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবার। শেখ কামাল শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয় সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই জড়িয়ে ছিলেন।
শেখ কামালের স্মরণসভায় আলোচক হিসেবে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক ফুটবলার, ক্রিকেটার, সাংবাদিকসহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। ফলে স্বরণসভাটি ক্রীড়াঙ্গন সংশ্লিস্ট সকলের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ৫ আগস্ট তাঁর জন্মদিন হলেও এবার প্রথমবারের মত ক্রীড়াঙ্গনে আনুশষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা হয়েছে গতকাল।
শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। স্বরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক মো. কামরুজ্জামান, সাবেক ফুটবলার গোলাম সারোয়ার টিপু, বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, সাবেক ক্রিকেটর ফখরুল আহসান বাবু ও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় মাহতুবুর রহমান বুলবুল, সাবেক টিটি খেলোয়াড় জোবেরা রহমান লিনু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও ফেরদৌস ওয়াহিদ, শেখ কামালের ঘনিষ্ট বন্ধু এটিএম মনিরউদ্দিন ও তাওরিদ হোসেন বাদল, ক্রীড়া সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল, কেএনহক মন্টু, কাজী আনিসুর রহমান, মোজাফফর হোসেন পল্টু, দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, বাদল রায়, কামরুন নাহার ডানা, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, নুরুল আলম চৌধুরী, আহমেদ আসিফুল হাসান ও মোজাম্মেল মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন।
আবাহনীর ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, শেখ কামালের অনবদ্য সৃষ্টি আবাহনী ক্লাব। শেখ কামাল ছিলেন আধুনিক মন-মানসিকতাসম্পন্ন একজন মেধাবী, রুচিবান ও সাহসী মানুষ। সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন তিনি। ছিলেন তারুন্য ও যৌবনের উজ্জ্বল প্রতিনিধি। আবাহনী ৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিনটি বিশেষভাবে পালন করে। আমরা এবার শুধু আবাহনী নয়, পুরো ক্রীড়াঙ্গনের সকলের সঙ্গে নিয়ে কামাল সম্পর্কে আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। আগামীতে ৫ আগস্টের আগে বা পরে এক দিন নির্দিষ্ট করে শেখ কামালকে ক্রীড়াঙ্গনের সবাই এক সঙ্গে স্মরণ করব। বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল কিংবা ব্যাডমিন্টন- সব ক্ষেত্রেই শেখ কামালের ছিল অবাধ বিচরণ। তিনি ১৯৬৮ সালে ধানমন্ডি ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক হন। আবাহনী ক্রীড়া চক্রের এই প্রতিষ্ঠাতা প্রথম সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনের পর ১৯৭৫ সালে সভাপতি হন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন গঠিত হওয়ার আগে গঠিত ফুটবল কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া দুস্থ খেলোয়াড়দের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য ১৯৭৫ সালে ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া কল্যাণ ট্রাস্ট’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।সূত্র- বাসস