
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ফের পয়েন্ট খোয়াল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাইফ পাওয়ার ব্যাটারী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে (বিপিএল) টিম বিজেএমসির সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করে মূল্যবান পয়েন্ট খঁইয়েছে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। এর আগে অবশ্য ফরাশঞ্জের কাছে ১-০ গোলে হেরেই পযেন্ট খুইয়েছিল ধানমন্ডীর অভিজাত ক্লাব। আজ ড্রয়ের ফলে চার ম্যাচ থেকে ঢাকা আবাহনীর সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৭ পয়েন্ট। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান তৃতীয়। অপরদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্টের সংগ্রহ নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ১০ম স্থানেই রয়ে গেছে বিজেএমসি।
ম্যাচের ৩ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ হাতছাড়া করে ঢাকা আবাহনীর। মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদের শট গোলরক্ষকের হাতে লেগে পরবর্তিতে ক্রসপিচে লেগে ফেরত আসে। ৬ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে ওয়ালীর ক্রস সাদ উদ্দিন বক্সে বাড়িয়ে দেন সামনে। এমেকা বল পেয়ে শট নিলেও বিপদমুক্ত করেছে বিজেএমসির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা।
৯ মিনিটে সুযোগ এসেছিলো বিজেএমসিরও। বক্সে বল পেয়ে কোনকোনি শট নিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড পাশবন মোল্লা। বল চলে যায় বারের উপর দিয়ে। ১৫তম মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে দ্রুত গতিতে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বিজেএমসির ইয়োকো স্যামনিক। কিন্তু তাকে পেছন থেকে টেনে ধরেন ওয়ালী ফয়সাল। ফ্রি কিক পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন স্যামনিক। ২৭তম মিনিটে বিজেএমসির বক্সে জোড়ালো হেড নিয়েছিলেন ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন।
৩৫তম মিনিটে বল দখলের লড়াই ছেড়ে শারীরিক লড়াইয়ে নেমে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব দুটির খেলোয়াড়রা। এ সময় নিজেদের বক্সে বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে বিজেএমসির বাইবেককে ঘাড়ে ঘুষি মারেন এমেকা ডালিংটন। রেফারী দু’জনকেই হলুদ কার্ড দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ৩৯তম মিনিটে বাইবেকের অসাধারণ ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম। ৪১তম মিনিটে আবাহনীর রুবেল মিয়াকে বক্সে ফেলে দেন বিজেএমসির গোলরক্ষক সোহাগ হোসেন পলাশ। এতে পেনাল্টির দাবী করলেও সেই পথে হাঁটেননি রেফারী। ৪৩ মিনিটে বিজেএমসির পাশবন মোল্লা বা প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রস বাড়িয়ে দিলে প্রায় ফাকা পোস্ট পেয়েও বল রিসিভ করতে পারেননি তার সতীর্থরা। ৪৫তম মিনিটে অবশ্য ঢাকা আবাহনীর জালে একবার বল পাঠায় বিজেএমসি। চমৎকার সেন্টার করেন ইয়োকো স্যামনিক। ফরোয়ার্ড মেহদি হাসান রয়েল জোড়ালো শটে লক্ষ্যভেদ করলেও অফসাইডের ফাদে কাটা পড়ে বিজেএমসির গোলটি। ফলে গোলশূন্য থেকেই বিশ্রামে যায় দু’দল।
বিরতীর পর ৫৪ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ইমন মাহমুদের শট ফিরিয়ে দেন বিজেএমসির গোলরক্ষক। ফিরতি বলে বা প্রান্ত থেকে ওয়ালী ফয়সালের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬১ মিনিটে বল নিয়ে বক্সের কোনায় চলে যান পাশবন। তাকে বাধা দিতে যান ওয়ালী ফয়সাল। রীতিমতো জার্সি ধরে টানাটানিই করতে থাকেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। রেফারী ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন। তবে হলুদ কার্ড দেখাননি। সৌভাগ্য ওয়ালীর। কেননা, এই ম্যাচে আগেই একটা হলুদ কার্ড দেখেছেন এই খেলোয়াড়। ৬৮ মিনিটে সুবিধাজনক অবস্থানে ফ্রি কিক পেয়েও সুযোগ হাতছাড়া করেন আবাহনীর ল্যান্ডিং। ফলে ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য ড্র’তে।সূত্র- বাসস