সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ বর্ন্যায় তাল তরকারির ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাঁচা বাজারে প্রতিটি দ্রব্যাদির দাম দ্বিগুন হারে বেড়ে গেছে। যার কারনে নি¤œ আয়ের মানুষজন তরিতরকারি কিনতে পারছে না।
বেশিভাগ তাল তরকারির আবাদ হত চরাঞ্চলে। কিন্ত টানা বর্ষন এবং বন্যায় উপজেলার তারাপুর,বেলকা হরিপুর,চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর চরের সমস্ত তাল তরকারির ক্ষেত পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়ে গেছ্। এ কারনে বাজারে তরি তরকারি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।বতমানে বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ১০০ হতে ১২০ টাকা,বেগুন ৪০ হতে ৫০ টাকা,করলা ৮০হতে ১২০ টাকা,পটল ৪০ হতে ৫০ টাকা,শশা ৫০ হতে ৭০ টাকা,ঢ়েড়স ৩০ হতে ৪০ টাকা,তড়াই ৫০ হতে ৬০ টাকা,কচু ৩০হতে ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ হতে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা নি¤œ আয়ের মানুষজনের পক্ষে ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে ফিরে দেখা গেছে তাল তরকারি সমস্ত ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে গেছে। পানির নিচে দীর্ঘদিন ডুবে থাকায় ফসলের এই ক্ষতিসাধন হয়।
বেলকা ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল ইসলাম জানান তিনি ৩ বিঘা জমিতে পটল,বেগুন এবং মরিচ চাষাবাদ করেছিল। কিন্তু বর্ন্যায় তার ৩ বিঘা জমির উঠতি ফসল সম্পন্ন রুপে নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি এখন মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন। তিনি আরও বলেন ওই ৩ বিঘা জমির ফসল বিক্রি করে সে সারা বছর সংসার চালাত।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের ব্যাবসায়ি আমজাদ মিয়া জানান স্থানীয ভাবে কাঁচামাল না পাওয়ায় রংপুর, বগুড়া ,গাইবান্ধা থেকে কাঁচামাল নিয়ে এসে চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দুর থেকে মালামাল নিয়ে আসায় খরচ বেশি হয় সে কারনে বেশি দামে তরিতরকারি বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু সাঈদ মো: ফজলে এলাহী জানান,বর্ন্যায় উপজেলার ১৫০ হেক্টর জমির তাল তরকারির ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে গেছে। তবে চরাঞ্চলের কৃষকরা বর্ন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে আবারও তাল তরকারির চাষাবাদ শুরু করেছে।