গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সড়কের ধারণ ক্ষমতার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত ভটভটি, অটো, অটোরিক্সা ও ভ্যান এর জটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসী। এ থেকে নিস্তার মিলছেনা বরং পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। উপজেলার প্রবেশদ্বার মূল চারটি সড়কের যত্রতত্র ভটভটি, অটো, অটোরিক্সা ও ভ্যান রাস্তায় দ্বার করিয়ে রাখা এবং বিশৃঙ্খল ভাবে চলাচল করায় মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। আর এতে করে সড়কে সর্বক্ষণ যানযট লেগে থাকছে। ফলে যাত্রী ও পথচারীদের চলাচলে দুঃসহ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারায় পরিস্থিতির কোন উন্নতি হচ্ছে না। ফলে ভটভটি, অটো, অটোরিক্সা ও ভ্যান চলাচলে শৃঙ্খল ফিরছে না। বরং দিন দিন পরিস্থিতি লাজুক হয়ে উঠেছে। উপজেলার প্রধান বোনারপাড়া বাজারে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে উপজেলায় ও ট্রেনের চলাচলমুখী হতে হয়। এসব মানুষ সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, ভরতখালী, গাইবান্ধা সড়ক সহ স্টেশন সড়ক দিয়ে প্রবেশ করেন। ভটভটি, অটো, অটোরিক্সা ও ভ্যান মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনের তুলনায় সড়কের ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় সড়কে যানবাহনের যট সৃষ্টি হয়। ফলে ব্যস্ততম এসব সড়কে মানুষের যাতায়াত চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এসব যানবাহন চলাচলে নিয়মনীতি শৃঙ্খলা না থাকায় অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে। পথচারি কাদের আলী অভিযোগ করে জানান, আগে পায়ে চালিত ভ্যান চলাচলের কারণে সড়কে যট ছিলনা কিন্তু ব্যাটারী চালিত যানবাহন চলাচল শুরু করায় সড়কগুলো যানযটের কবলে পড়েছে। বেসরকারী হিসাবে ৭ থেকে ৮ হাজার ভটভটি, অটো, অটোরিক্সা ও ভ্যান, ফলে এই বিপুল পরিমাণ যানচলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সড়ক নেই উপজেলায়। সেই কারণে বৈধ যানযাহন সাচ্ছন্দে চলতে পারছে না। পথচারী কমলচন্দ্র জানান, এসব যানবাহনের কারণে মানুষের দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এর শৃঙ্খলা আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন উপজেলাবাসী। উল্লেখ্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে জানান, উপজেলার সাঘাটা, জুমারবাড়ী, ভরতখালী, বোনারপাড়া কলেজ মোড়, হাকিমের মোড়, সাঘাটা মুখি সিএনজি ষ্ট্যান্ড, গাইবান্ধা মুখি সিএনজি ষ্ট্যান্ড, গোবিন্দগঞ্জ মুখি সিএনজি ষ্ট্যান্ড, ৮টি পয়েন্টে অবৈধ যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।