গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোটাঅংকের অর্থ আত্মসাৎ, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও পাহাড়সম অনিয়মের অভিযোগ।
অভিযোগে প্রকাশ, ওই ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু ২৭/১২/১৫, ১৫/০৩/১৬ ও ২৫/০৭/১৬ইং তারিখে ইউপি’র সভায় চেয়ারম্যান কোন স্বাক্ষর করেননি। অনেক ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে এলজিএসপি’র ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের ১ম কিস্তির ৮ লাখ ৫২ হাজার ১’শ ৫৪ টাকা, ২য় কিস্তির ১৩ লাখ ৭২ হাজার ১’শ ৩০ টাকা, পিবিজির’র ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫’শ ৯৫ টাকার ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে প্রকল্পের কোন কাজ না করে ভূয়া ঠিকাদার দ্বারা কাজ করানো দেখানো হয়েছে। যা ০৭/০৩/১৭ইং তারিখে অডিটকারীদল সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। এলজিএসপি’র কাজের কোন ওয়ার্ড সভা করা হয়নি এবং ওয়ার্ড সুপারভিশন কমিটিও গঠন করা হয়নি। ২০১০-১১ অর্থ বছরের নির্মিত কালভার্ট ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে দেখিয়ে ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। যা প্রকল্প অডিটকারী টিমকে দেখানো হয়নি। বড় শিমুলতলা সাবের মাস্টারের বাড়ীর সামনে ইউড্রেন নির্মাণ না করে ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ১% ১ লাখ টাকার মির্জাপুর ঈদগাহ মাঠর দক্ষিণ পার্শ্বে কালভার্ট না করে এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ইউরেট (চৌকিদারী ট্যাক্স) আদায়ের সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেন। অত্র ইউপি সদস্যদের কোন প্রকার ভাতার টাকা প্রদান করা হয়নি।
ওই ইউনিয়নের হাজীরঘাট ও ঋষিঘাট নৌকা বা খেয়াঘাট দু’টি ইজারা ডাক না দিয়ে চেয়ারম্যান তার নিজস্ব লোককে ইজারা প্রদান করলেও কোন রেজুলেশন করেননি। কাশিয়াবাড়ী কামারের বাড়ী থেকে কায়িশবাড়ী ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত, কাশিয়াবাড়ী হতে সুলতানপুর হাইস্কুল পর্যন্ত, বড় শিমুলতলা তপনের পুকুরপাড় হতে দূর্গামন্দির পর্যন্ত, বড় শিমুলতলা নুরু দোকানদারের বাড়ী হতে কাশিয়াবাড়ী রাস্তার কালভার্ট পর্যন্ত এবং বেংগুলিয়া বাজার হতে ঘোড়াঘাটের সীমানা পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে শত-শত গাছ ইউপি’র কোন রেজুলেশন বা নিলাম ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে গাছগুলি বিক্রি করে চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটস্থ করেছেন।
অপরদিকে, ওই ইউপি’র সচিব সুনীল চন্দ্র এসব অনিয়ম-দূর্ণীতি ও অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করায় তার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। সচিব সুনীল চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।
এব্যাপারে আব্দুর ছাত্তার প্রামানিকসহ ৫জন ইউপি সদস্য ইতোমধ্যেই স্থানীয় সরকার বিভাগের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, দূর্ণীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো নিরপেক্ষ তদন্তসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তপেক্ষ কামনা করেছেন অভিযোগকারী ইউপি সদস্যবৃন্দ।