প্রধানমন্ত্রীর পদে নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা ও তার পদত্যাগের বিষয়টিকে ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন’ বিষয় হিসেবে দেখছে বেইজিং।
বেইজিং বলছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) ‘ফ্ল্যাগশিপ’ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ‘ওয়ান বেল্ট’, ‘ওয়ান রোড’ উদ্যোগে দেশ দুটির কৌশলগত সহযোগী অংশীদারিত্বকে প্রভাবিত করবে না।
পানামা পেপার্স মামলায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং শনিবার বেইজিংয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন।
বিফ্রিয়ে লু ক্যাং বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন অবস্থার পরিবর্তনে চীন-পাকিস্তানের কৌশলগত সহযোগী অংশদারিত্বে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ‘ওয়ান বেল্ট’, ‘ওয়ান রোড’ এর যৌথ উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে পাকিস্তনের সঙ্গে কাজ করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে।’
শুক্রবার পানামা পেপার্স মামলায় পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য বলে রায় দেয়। এই রায়ের পর পরই পদত্যাগ করেন নওয়াজ শরীফ।
লু ক্যাং আরো বলেন, ‘চীন প্রত্যাশা করে যে, পাকিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দলগুলো দেশ ও জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে। একই সঙ্গে তারা তাদের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলো যথাযথভাবে মোকাবেলা করবে এবং জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।’
চীনা মুখপাত্র উল্লেখ করেন যে, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বারবার পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের ভাই শাহবাজ শরিফের নাম সুপারিশ করেছেন নওয়াজ। তবে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খাকান আব্বাসিকে মনোনীত করেছে ক্ষমতাসীন দল পিএমএলএন।
সূত্র: দ্য কাশ্মীর মনিটর