গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকার গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে কৃষকরা পানির দামে বিক্রি করছেন গৃহ পালিত পশু-পাখি।
টানা বিশ দিনের বন্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি নেমে যাওযায় ওই সব এলাকায় গো-খাদ্যের সংকটসহ নানাবিধ রোগ-ব্যাধির প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে কৃষকরা গৃহ পালিত গরু, ছাগল, হাস, মুরগী, ভেরা পানির দামে বিক্রি করছে। বন্যার পানি নেমে যাওযায় গৃহ পালিত পশু-পাখির মাঝে দেখা দিয়েছে নানাবিধ রোগ-ব্যাধি । পাশাপাশি গো-খাদ্য তীব্র সংকটে গরু, ছাগল লালন-পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চরাঞ্চলে কোন প্রকার খাদ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে না । কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে চরাঞ্চল বাসীর এক মাত্র সম্বল গৃহ পালিত পশু-পাখি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি একশ খরের আটির দাম তিন হতে চার’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উজান থেকে নৌকা যোগে খর কিনে নিয়ে এসে গরু, ছাগলকে খাওয়ানো অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের কাজিয়া চরের আনছার আলী নামে আমার ৫টি গরু ও ৩টি ছাগল রয়েছে। বন্যা চলা কালিন শুধু মাত্র ধানের খর খেয়ে রেখে ছিলাম। যার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই খর শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে খর কিনে নেয়ে এসে খাওযায় অত্যন্ত ব্যয-বহুল হয়ে পড়েছে। এ কারণে অল্প দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে গরু, ছাগল। ইতি মধ্য দুটি গরু ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। যদি আর এক মাস পর ওই গরু দুটি বিক্রি করতাম তাহলে প্রায় ১ লাক্ষ টাকা হতো । এছাড়া হাস, মুরগী অত্যন্ত কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে চরাঞ্চল বাসীকে। উপজেলর মীরগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে একটি করে হাস ৫০ হতে ৮০ টাকা এবং একটি মুরগী ৮০ হতে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ বন্যার আগে একটি হাঁস ২০০ টাকা এবং একটি মুরগী ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হত। উপজেলা ভেটেরেনারি সার্জন ডাক্তার রেবা বেগম জানান, বন্যা নেমে যাওযায় পর নানাবিধ রোগ-ব্যাধি দেখা দিতে পারে। যথা সময়ে চিকিৎসা দেওয়া হলে তা সেরে উঠে। কিন্তু দুর্গম চরাঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা অত্যন্ত দুরহ ব্যপার হয়ে পড়েছে।