কট্টর কাতার বিরোধী অবস্থান থেকে নমনীয় হতে শুরু করেছে অবরোধ আরোপকারী চার আরব দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিশর।
সৌদি জোটের এ দেশগুলো আগে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য কাতারকে ১৩টি শর্ত দিলেও তা ৬টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বাদ পড়া শর্তগুলোর মধ্যে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ করে দেয়ার দাবিও রয়েছে।
নিউইয়র্ক সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিয়োজিত সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মোয়াল্লিমি এক সংবাদ সম্মেলনে আগের ১৩ শর্ত থেকে সরে গিয়ে নতুন ছয়টি শর্ত প্রস্তাব করার কথা জানান।
তিনি বলেন, গত ৫ জুলাই কায়রোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এক বৈঠকে নতুন ছয় নীতির বিষয়ে সম্মত হয় সৌদি আরব, ইউএই, বাহরাইন ও মিসর।
নতুন ছয়টি শর্ত হলো:
১. সব ধরনের উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অঙ্গিকার করা, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থায়ন ও তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়া বন্ধ করা।
২. সব ধরনের ঘৃণা ছড়ানো ও সহিংসতার প্রতি উসকানিমূলক প্ররোচনা ও বক্তব্য বন্ধ করা।
৩. ২০১৩ সালের রিয়াদ চুক্তি ও সম্পূরক চুক্তি এবং এসব চুক্তি বাস্তবায়নে ২০১৪ সালে গৃহীত কৌশল গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) কাঠামোর আওতায় পূর্ণ বাস্তবায়ন।
৪. গত মে মে মাসে রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব ইসলামিক-আমেরিকান সম্মেলনের সব সমঝোতার প্রতি অনুগত থাকা।
৫. আরব উপদ্বীপের রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও অবৈধ সংগঠনকে সমর্থন দান বন্ধ করা।
৬. সব ধরনের উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে লড়াই করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সব রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
সংবাদ সম্মেলনে আল মোয়াল্লিমি বলেন, চার আরব দেশ মনে করে, কাতারের জন্য এগুলো গ্রহণ করা সহজ হবে। নীতিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা অপরিহার্য। এই নীতিগুলোর ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না।
তবে আলজাজিরা বন্ধের শর্ত থেকে আসার ব্যাপারে সৌদি এ কূটনীতিক বলেন, চার আরব দেশ মনে করে সহিংসতায় উসকানি বন্ধ করাটা আবশ্যক। এক্ষেত্রে আলজাজিরা বন্ধ করার প্রয়োজন নাও হতে পারে।
তিনি বলেন, কেবল যদি আলজাজিরা বন্ধ করাই লক্ষ্য অর্জনের একমাত্র উপায় হয় তাহলে তা হতেই পারে। কিন্তু আমরা যদি আল জাজিরা বন্ধ না করেই তা করতে পারি তা আরও ভালো হয়। মূলত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অভিষ্ট লক্ষ্য ও এ সংক্রান্ত নীতি।