1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা-৪ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন যারা পলাশবাড়ীতে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন গাইবান্ধায় জুনিয়র বৃত্তি, ইবতেদায়ি পঞ্চম ও দাখিল অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার তারাগঞ্জে এক রাতেই তিনটি দোকানে দুঃসাহসিক চুরি টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত তারাগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষ গাইবান্ধার স্বাস্থ্যখাতে বহাল ‘পুরোনো সিন্ডিকেট’, নেপথ্যে স্বাচিপ নেতা-ঠিকাদারদের বিস্ফোরক অভিযোগ মানবিকতার ‘লাল ভালোবাসা’ পলাশবাড়ী ব্লাড ডোনারস সোসাইটির নিয়মিত রক্তদাতা মমিনের ৪র্থ রক্তদান গোবিন্দগঞ্জে জাতীয় পার্টির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত তারাগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষ

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

আব্দুল্লাহিল শাহীন,তারাগঞ্জ, রংপুরঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় টানা পাঁচ দিন ধরে চলমান শৈত্যপ্রবাহ, হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, সূর্যের অনুপস্থিতি আর কুয়াশার সাদা চাদরে ঢাকা প্রকৃতিসব মিলিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এই শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, অটোরিকশাচালকসহ শ্রমজীবী মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।

প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে চারপাশ ঝাপসা হয়ে থাকছে। কুয়াশার কারণে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।

শৈত্যপ্রবাহের সবচেয়ে বড় আঘাত এসে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের ওপর। কনকনে ঠান্ডায় ভোরবেলায় কাজে বের হওয়া তাদের জন্য হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য। অনেকেই শীতের তীব্রতার কারণে কাজে যেতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কাজে বের হলেও পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে কাঁপতে কাঁপতে দিন পার করছেন। এতে দৈনিক আয় কমে যাওয়ায় পরিবার পরিচালনা নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তা বেড়েছে।

শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারাগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। পুরনো সোয়েটার, চাদর ও কম্বল কিনতে ছুটছেন সাধারণ মানুষ।

তারাগঞ্জ বাজারের একাধিক দোকানদার জানান, গত কয়েক দিনে গরম কাপড়ের চাহিদা অনেক বেড়েছে। তবে দাম শুনেই অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। টাকার অভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী গরম কাপড় কিনতে পারছেন না অসংখ্য দরিদ্র মানুষ।
তারাগঞ্জ বাজারে গরম কাপড় কিনতে আসা দিনমজুর মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী পারভীনা বেগম বলেন, ছেলে-মেয়ে আর বাড়ির বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দামের কারণে শুধু একটা বাচ্চার কাপড় কিনেই ফিরে যাচ্ছি। সবগুলোর জন্য কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

শীতের বিরূপ প্রভাব পড়েছে শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপরও।

সন্ধ্যার পর থেকে শীত আরও তীব্র হয়ে ওঠে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় অনেক অসহায় মানুষ খোলা আকাশের নিচে বা রাস্তার পাশে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছেন। কোথাও কোথাও দলবেঁধে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের।

উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুরের কৃষ্ণপুর গ্রামের রিকশাভ্যানচালক আলমগীর হোসেন জানান, গত তিন দিন ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে রিকশাভ্যান চালাতে পারছি না। সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

 

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft