মোঃ ফেরদাউছ মিয়া,পলাশবাড়ীঃ
মানবিকতা কখনো বয়স দেখে না, এই কথার জীবন্ত প্রমাণ পলাশবাড়ী ব্লাড ডোনারস সোসাইটির নিয়মিত রক্তদাতা মো. মমিন মন্ডল (২২)। অল্প বয়সেই বারবার রক্তদান করে তিনি হয়ে উঠেছেন অসহায় মানুষের ভরসা, মানবতার এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) পলাশবাড়ীর সাংবাদিক মোঃ ফেরদাউছ মিয়ার অসুস্থ মায়ের জীবনরক্ষায় নিজের চতুর্থ ‘লাল ভালোবাসা’ রক্তদান করেন মো. মমিন মন্ডল। নিঃস্বার্থ এই মানবিক উদ্যোগ উপস্থিত সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
মাত্র ২২ বছর বয়সেই ধারাবাহিকভাবে রক্তদান করে মমিন মন্ডল প্রমাণ করেছেন,ইচ্ছা থাকলে তরুণ বয়সেই সমাজের জন্য বড় অবদান রাখা সম্ভব। স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ পলাশবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় ইতোমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী ব্লাড ডোনারস সোসাইটি একটি রক্তদান ও পরিবেশবান্ধব সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটি নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও পরিবেশ রক্ষায় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিয়মিত ও নিরাপদ রক্তদানের মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন রক্ষায় মো. মমিন মন্ডলের অবদান অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাঁর এই মানবিক কাজ নতুন প্রজন্মকে স্বেচ্ছাসেবী রক্তদানে অনুপ্রাণিত করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রক্তদান শেষে মো. মমিন মন্ডল বলেন,“মানুষের জীবন বাঁচাতে পারাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও নিয়মিত রক্তদান চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।”
পলাশবাড়ী ব্লাড ডোনারস সোসাইটির পক্ষ থেকে মো. মমিন মন্ডলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয় এবং তাঁর মানবিক উদ্যোগের জন্য জানানো হয় আন্তরিক অভিনন্দন।
এছাড়াও পলাশবাড়ীর সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকেও তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের লেখক ও একজন কৃতজ্ঞ সন্তান হিসেবে, মো. মমিন মন্ডলের প্রতি আমি মোঃ ফেরদাউছ মিয়া—হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই। তাঁর এই মানবিক কাজ সমাজে ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিক,এই কামনা রইল।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.