1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন
২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে ২ লাখ টাকা জরিমানা পলাশবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য খাইরুল আলমের ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের গভীর শোক গাইবান্ধার দু’টি আসনে এনসিপি’র প্রার্থী ঘোষণা গোবিন্দগঞ্জে দলিল লেখকদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল বিকেএসপিতে লিজেন্ডারি খেলোয়াড় হিসেবে সম্মাননা পেলেন উদীয়মান নারী ক্রিকেটার মারুফা আকতার অস্ট্রেলিয়ায় কিশোরদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অবৈধ সব ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হবে বসুন্ধরা গ্রুপ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে তিনদিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৬, শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত মাঠ ১০ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস

তারাগঞ্জে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া : তথ্য চাইতেই সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হন অধ্যক্ষ সালাম।

  • আপডেট হয়েছে : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

শরিফ মেহেদী হাসান,রংপুরঃ

পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা বাণিজ্যের জন্য গোপনে নিয়োগ প্রক্রিযার অভিযোগ উঠেছে তারাগঞ্জ ও,এ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের হেনস্তা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে ফোনে ডেকে আনেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১টার অধ্যক্ষের কক্ষে। দৈনিক কালবেলার তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড এবং আনন্দ টিভি তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আরিফ শেখ তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষের অফিসকক্ষে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে কক্ষের ভেতরে উপস্থিত ছিলেন কুর্শা ইউনিয়নের সাবেক কাজি শাহা কাজি।

অধ্যক্ষ এস এম আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারাগঞ্জ ও,এ কামিল মাদ্রাসায় নৈশপ্রহরী, আয়াসহ চারটি পদে টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি দিতে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেন।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিকরা গত ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানে কোনো নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে কি না, কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে কি না—এমন নিয়মবহির্ভূত বা গোপন নিয়োগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ এস এম আব্দুস সালাম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি বলেন—“আমি কি চুরি করছি? কেন আপনারা সংবাদ করবেন? কত টাকা দিতে হবে সংবাদ না করার জন্য?”

সাংবাদিকদের অভিযোগে, অধ্যক্ষ উত্তেজিত হয়ে বারবার রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন এবং সাংবাদিকদের “ধরে নেওয়ার” আহ্বান জানান। কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা এসে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন এবং মব তৈরির চেষ্টা করেন।

এসময় সাংবাদিকরা নিরাপত্তার স্বার্থে অডিও ও ভিডিও রেকর্ড চালু করেন। দাবি করা হচ্ছে, রেকর্ডিং শুরু হওয়ার পরও অধ্যক্ষ অপমানজনক ভাষায় কথা বলতে থাকেন এবং অর্থের বিনিময়ে সংবাদ বন্ধের অনৈতিক প্রস্তাব দেন।

সাংবাদিক আরিফ শেখ বলেন,“আমরা নিয়মানুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অধ্যক্ষ আমাদের অপমান, ভয়ভীতি এবং হেনস্তার চেষ্টা করেছেন। এমনকি স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ডেকে মব তৈরির চেষ্টা করেন। বিষয়টি ন্যায়বিচারের স্বার্থে তদন্ত হওয়া জরুরি।”

সাংবাদিকদের লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড বলেন, প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা রয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠিত হলে তারা অডিও–ভিডিও প্রমাণ জমা দেবেন।

স্থানীয় সাংবাদিক মহল ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অধ্যক্ষ এস এম আব্দুস সালামের মুঠোফোনে কল করে হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে, পরে কথা হবে বলে মুঠোফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোনাব্বর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “তারাগঞ্জ ও/এ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্থানীয় দুইজন সাংবাদিককে হেনস্তা করার যে অভিযোগের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমি নই। সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন একজন এডিসি স্যার। আমি অভিযোগকারীদেরকে সভাপতির কাছে আবেদন করতে বলেছি। আশা করি তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”

জানতে চাইলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শরীফুল আলম বলেন, “আয়া, নৈশপ্রহরীসহ চার পদে ওই মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এ জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করার তো কোনো কারণ নেই। অধ্যক্ষ কেন এমন করলো, উনার সঙ্গে কথা বলব।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft