রংপুর থেকে ফিরে মোঃ ফেরদাউছ মিয়াঃ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, নির্বাচনের আগে গণভোট,লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করণসহ পাঁচ দফা দাবী আদায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ইসলামী ও সমমনা আট দলের রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশে বক্তারা বলেছেন “একটি রাজনৈতিক দলকে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান দেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।”
তাদের দাবি— জাতির প্রত্যাশা পূরণে গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর কালেক্টর মাঠে অনুষ্ঠিত এ মহাসমাবেশে বিভিন্ন জেলার হাজারো নেতাকর্মীর ঢল নামে। দুপুরের আগেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে স্লোগানে আর ব্যানারে।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন“দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একটি দলকে অস্বাভাবিক নিরাপত্তা দেওয়া নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
জনগণের মতামত যাচাই ছাড়া অর্থাৎ গণভোট ছাড়া কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মো. রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)।
তিনি বলেন “নির্বাচনের মাঠ সমান নয়; প্রতিযোগিতা সুষ্ঠু নয়। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় প্রথম শর্ত— গণভোট। জনগণই ঠিক করবে, তারা কেমন সরকারব্যবস্থা চায়।
গণরায় ছাড়া নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন হবে আরও একটি রাজনৈতিক সঙ্কটের সূচনা।”
তিনি সতর্ক করে বলেন
“রাষ্ট্রীয় বৈষম্য সৃষ্টি করে কোনো দলকে ক্ষমতায় তোলার প্রচেষ্টা মুক্ত গণতন্ত্রের পরিপন্থি।”
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম,সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওঃ আব্দুল হালিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, নেজামে ইসলামী পার্টির নায়েবে আমির মুফতি মোখলেছুর রহমান কাসেমী, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সংগঠক মুফতি মাহমুদুল হাসান, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামসহ ৮ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন
একটি দলকে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান অন্য দলগুলোর প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের স্পষ্ট প্রমাণ;
রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে ক্ষমতায় যেতে চাইলে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে;
অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ, সবার জন্য সমান সুযোগপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে জনগণের মতামত জানানোর পথ খুলে দিতে হবে।