খবরবাড়ি ডেস্কঃ
ইলেকট্রনিক মিডিয়া ৭১ টেলিভিশনে রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রচারিত “কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে ৮৫৫টি ইউক্যালিপ্টাস গাছ বিক্রি” শীর্ষক প্রতিবেদনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর।
প্রতিবেদনে যে অনিয়ম, ভুয়া দরপত্র কিংবা স্বচ্ছতার ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার কোনোটিরই বাস্তব ভিত্তি নেই। যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন অসত্য তথ্য প্রচার একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা বলে আমি মনে করি।
প্রকৃত সত্য হলো—
কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন সগুনা মসজিদ মোড় থেকে মেঘার মোড় পর্যন্ত মোট ৮৫৫টি গাছ বিক্রয় কার্যক্রম সর্বাত্মক আইনগত বিধান, প্রণীত নীতিমালা ও ইউনিয়ন পরিষদ আইনে নির্ধারিত সকল প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়েছে।
গাছ বিক্রয় কাজে যথাযথভাবে দরপত্র আহ্বান,দরপত্রের সুষ্ঠু যাচাই-বাছাই,এবং সর্বোচ্চ দরদাতার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহ প্রতিটি ধাপই স্বচ্ছতা, ন্যায়সংগত নীতিমালা ও প্রশাসনিক নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে।
আমি দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই এই পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম, জালিয়াতি বা ভুয়া দরপত্রের আশ্রয় নেওয়া হয়নি। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের কাছে ভুল ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগসমূহ সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্তের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আমি যেকোনো তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
প্রতিবাদকারী:
আবু বক্কর সিদ্দিক
চেয়ারম্যান, কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ
পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা
তারিখঃ ১৭ নভেম্বর ২০২৫
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.