1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

ভাঙা ঘরে নিঃসঙ্গ এক জীবন, পীরগঞ্জের বৃদ্ধের মানবেতর দিনযাপন

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

সাকিব আহসান,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ১০ নং জাবরহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চন্দরিয়া তালতলা গ্রামের ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ আজও জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে একা যুদ্ধ করে যাচ্ছেন দারিদ্র্য, বার্ধক্য আর একাকীত্বের সঙ্গে। তার ঘর যাকে ঘর বলা কঠিন। একটি ভাঙাচোরা কুঁড়ে, মাটির ধাপে বসে তিনি দিনের পর দিন কাটান ক্ষুধা, ক্লান্তি আর অবহেলার মধ্যে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খড়ের ছাউনি ঝুলে পড়েছে, দরজার কাঠামো ভেঙে গেছে, ঘরের কোণে স্যাঁতসেঁতে মাটি আর একটি পুরোনো লাঠি। পাশেই কিছু বাঁশের ডাণ্ডা, যেন বহুদিন ধরে মেরামতের ইচ্ছা থেকে জমে থাকা সাক্ষী। বৃদ্ধের শরীরে বয়সের ভার এতটাই গভীর যে হাঁটাচলার শক্তিও প্রায় ফুরিয়ে গেছে। খাবারের জোগান অনিয়মিত, চিকিৎসা নেই, আশেপাশে নেই কোনো স্থায়ী সহায়তাকারী।

স্থানীয়রা জানান, তিনি কখনো বিবাহ করেননি, পরিবারও গড়ে ওঠেনি। সারাজীবন একাই থেকেছেন। প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যে কিছু খাবার বা টাকা দেন, কিন্তু তা দিয়ে নিয়মিত জীবন চলা সম্ভব নয়। এক স্থানীয় যুবক বলেন, “তার শরীর এখন একদম দুর্বল, চোখে অন্ধকার দেখি, কথা বলতেও কষ্ট হয়।”

বৃদ্ধ নিজেও জানান, “না খেয়ে দিন পার করছি।” কথাগুলো আসে কণ্ঠে কাঁপুনি নিয়ে, যেন প্রতিটি শব্দের সঙ্গে লুকিয়ে আছে এক গভীর আক্ষেপ ও নিরুপায় আর্তি।

ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য প্রতিবেদককে বলেন, “আমরা চেষ্টা করি সাহায্য দিতে, কিন্তু সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এ ধরনের মানুষ সরকারি সহায়তা তালিকার বাইরে থেকে যায়।”

চন্দরিয়া তালতলা গ্রামটি মূলত কৃষি ও দিনমজুর নির্ভর। এখানে দারিদ্র্য এখনো বাস্তবতার নির্মম রূপ। কিন্তু এই বৃদ্ধের কাহিনি শুধু একটি ব্যক্তিগত দুঃখগাথা নয়, এটি আমাদের সমাজের বিবেকের কাছে এক নীরব প্রশ্ন। বার্ধক্যে এসে কেন কেউ এত একা, এত অবহেলিত?

স্থানীয়রা বলেছেন, যদি সমাজের বিত্তবান ও মানবিক সংস্থাগুলো এগিয়ে আসে, তবে এই মানুষটির শেষ জীবনটুকু অন্তত সম্মানজনকভাবে কাটাতে পারেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft