খবরবাড়ি ডেস্কঃ ‘অসুস্থ পশু-পাখি জবাই থেকে বিরত থাকি-নিজেকে সুস্থ রাখি’-এই শ্লোগান নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সেবাদানকারীদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের আয়োজনে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে প্রাণিসম্পদ অফিসের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ উপজেলায় পাঠ পর্যায়ে সেবাদানকারী এলএসপি, ভ্যাক্সিনেটর, এআই টেকনিশিয়ানরা অংশ নেয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হারুন অর রশীদ অ্যান্থ্রাক্স বা তড়কা রোগ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় ভেটেরিনারী সার্জন ডা. হেমায়েত রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) জান্নাতুল মাওয়া ছাড়াও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় অ্যান্থ্রাক্স বা তড়কা রোগের সংক্রান্ত করণীয় বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
এ রোগ সংক্রান্ত করণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে হচ্ছে এ রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। অসুস্থ পশু সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে। কোন ক্রমেই অসুস্থ পশু জবাই করা বা মাংস টাকা ছেঁড়া বা খাওয়া যাবে না। মৃত পশুর দেহের সব স্বাভাবিক ছিদ্রপথ কাপড় বা তুলা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। মৃত পশু যেখানে সেখানে না ফেলে বা পানিতে না ভাসিয়ে উঁচু স্থানে কমপক্ষে ৬ হাত গভীর গর্ত করে চুন ছিটিয়ে পুঁতে ফেরতে হবে। অসুস্থ পশুর সকল মলমূত্র, রক্ত ও বিছানাপত্র একই গর্তে ফেরতে হবে বা পুড়িয়ে দিতে হবে। আক্রান্ত স্থান ব্লিচিং পাউডার বা অন্য কোন জীবাণুনাশক ঔষধ দিয়ৈ পরিস্কার করতে হবে। এলাকার সকল সুস্থ গবাদি পশুকে অ্যান্থ্রাক্স বা তড়কা রোগের টিকা রিং ভ্যাকসিনেশন দিতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। অ্যান্থ্রাক্স একটি জুনোটিক রোগ আক্রান্ত পশু থেকে মানুষে সংক্রামিত হয়। ‘আসুন আতংকিত না হয়ে সচেতন হই, সুস্থ গবাদিপশুকে সময়মত টিকা প্রদান করি’।