1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

কোচিং বাণিজ্য ও আইন প্রয়োগ, শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ অরক্ষিত!

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

সাকিব আহসান,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওঃ

বাংলাদেশে শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে দেখা যাচ্ছে, কোচিং সেন্টার বা ব্যক্তিগত টিউশনি একটি বিশাল বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা অনেক সময় শ্রেণিকক্ষে পূর্ণ মনোযোগ না দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং বা ব্যক্তিগত পড়াতে বাধ্য করেন। ফলে অভিভাবকদের ওপর অযৌক্তিক আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়। এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে শৃঙ্খলিত করতে সরকার “শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা, ২০১২” প্রণয়ন করেছে।

বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। এদের একটি বড় অংশ পরিচালিত হয় নিয়মের বাইরে। বিদ্যালয়ের পাঠদানে যথেষ্ট জোর না দিয়ে অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করেন। এর ফলে—
শিক্ষা ব্যবসায়িক রূপ ধারণ করে।
অভিভাবকের আর্থিক চাপ বাড়ে।
দরিদ্র ও প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের পাঠদান দুর্বল হয়ে পড়ে।
এমনকি অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফটকেও কোচিং সেন্টারের পোস্টার দেখা যায়, যা সরাসরি সরকারি নীতিমালা ও শিক্ষার আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
২০১২ সালে সরকার “কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা” প্রণয়ন করে। এর মূল বিষয়গুলো হলো—

১. কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা ব্যক্তিগত টিউশনি করতে পারবেন না।
২. স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে বা ফটকে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন, পোস্টার, ব্যানার টানানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৩. যদি কোনো শিক্ষক এই নীতিমালা ভঙ্গ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে; প্রয়োজন হলে চাকরি থেকে অব্যাহতি পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে।
৪. শিক্ষার্থীদের বিনা কারণে বাধ্যতামূলকভাবে কোচিংয়ে পাঠানো হলে, সেটি আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৫. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি রয়েছে, যারা এসব কার্যক্রম তদারকি করবে।
এই আইনের মাধ্যমে মূলত শিক্ষাব্যবস্থার মূল কাঠামোকে রক্ষা করা হয়েছে। শিক্ষককে কেবল শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের প্রতি মনোযোগী করার লক্ষ্যেই এই নীতিমালা। কারণ, শিক্ষা যদি কেবল কোচিং নির্ভর হয়, তবে জাতীয় শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। পাশাপাশি দরিদ্র শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে।

যদিও আইন প্রণয়ন হয়েছে, বাস্তবে এর প্রয়োগ এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ অনেক শিক্ষক নিয়ম ভঙ্গ করেও পারিবারিক ও সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে রেহাই পান।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft