1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
১৪ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে “সংবাদ সম্মেলন করে অপরাধ ঢাকার চেষ্টা: অভিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক পক্ষের। খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ বিরুধী আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় সিপিবি’র বিক্ষোভ পলাশবাড়ীতে ফিলিং স্টেশন ও বেকারীতে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় গাইবান্ধা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিদ্যমান সার নীতিমালা ২০২৯ বহাল রাখার দাবী পলাশবাড়ীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস-এর জরুরী মাশোয়ারা কোচিং বাণিজ্য ও আইন প্রয়োগ, শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ অরক্ষিত! ‎”মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে” ‎লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন হাঙ্গেরীর কনসাল পোলানেক ‎লালমনিরহাটে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার পলাশবাড়ীর পবনাপুর ইউপি কার্যালয়ে তালা, সেবা থেকে বঞ্চিত কয়েক হাজার মানুষ

কোচিং বাণিজ্য ও আইন প্রয়োগ, শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ অরক্ষিত!

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

সাকিব আহসান,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওঃ

বাংলাদেশে শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে দেখা যাচ্ছে, কোচিং সেন্টার বা ব্যক্তিগত টিউশনি একটি বিশাল বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা অনেক সময় শ্রেণিকক্ষে পূর্ণ মনোযোগ না দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং বা ব্যক্তিগত পড়াতে বাধ্য করেন। ফলে অভিভাবকদের ওপর অযৌক্তিক আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়। এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে শৃঙ্খলিত করতে সরকার “শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা, ২০১২” প্রণয়ন করেছে।

বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। এদের একটি বড় অংশ পরিচালিত হয় নিয়মের বাইরে। বিদ্যালয়ের পাঠদানে যথেষ্ট জোর না দিয়ে অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করেন। এর ফলে—
শিক্ষা ব্যবসায়িক রূপ ধারণ করে।
অভিভাবকের আর্থিক চাপ বাড়ে।
দরিদ্র ও প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের পাঠদান দুর্বল হয়ে পড়ে।
এমনকি অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফটকেও কোচিং সেন্টারের পোস্টার দেখা যায়, যা সরাসরি সরকারি নীতিমালা ও শিক্ষার আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
২০১২ সালে সরকার “কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা” প্রণয়ন করে। এর মূল বিষয়গুলো হলো—

১. কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা ব্যক্তিগত টিউশনি করতে পারবেন না।
২. স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে বা ফটকে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন, পোস্টার, ব্যানার টানানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৩. যদি কোনো শিক্ষক এই নীতিমালা ভঙ্গ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে; প্রয়োজন হলে চাকরি থেকে অব্যাহতি পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে।
৪. শিক্ষার্থীদের বিনা কারণে বাধ্যতামূলকভাবে কোচিংয়ে পাঠানো হলে, সেটি আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৫. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি রয়েছে, যারা এসব কার্যক্রম তদারকি করবে।
এই আইনের মাধ্যমে মূলত শিক্ষাব্যবস্থার মূল কাঠামোকে রক্ষা করা হয়েছে। শিক্ষককে কেবল শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের প্রতি মনোযোগী করার লক্ষ্যেই এই নীতিমালা। কারণ, শিক্ষা যদি কেবল কোচিং নির্ভর হয়, তবে জাতীয় শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। পাশাপাশি দরিদ্র শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে।

যদিও আইন প্রণয়ন হয়েছে, বাস্তবে এর প্রয়োগ এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ অনেক শিক্ষক নিয়ম ভঙ্গ করেও পারিবারিক ও সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে রেহাই পান।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft