1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে আলহাজ্ব ফজলুল হক মন্ডলের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন গভীর শোক ও সমবেদনা গাইবান্ধার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচিতি সভা গাইবান্ধায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সৌজন্য সাক্ষাত ফারিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতিকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে মানববন্ধন গাইবান্ধা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে কমিউনিটি সভা পলাশবাড়ীতে কাকতালীয় ইঞ্জিন বিস্ফোরণ ঘটে প্রাইভেট কার ভস্মীভূত সৌভাগ্যক্রমে কোনো অঘটন ঘটেনি পলাশবাড়ীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেডের দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন হাসপাতালের বেড থেকেই লাইভে সংবাদ: পেশার প্রতি দায়িত্ববোধে আলোচনায় সাংবাদিক রবিউল ইসলাম স্বচ্ছতা, সেবা ও সততার প্রতীক হতে চাই – এটিএম আজহারুল ইসলাম

‎তিস্তা নদীতে সরকারি বাঁধের নিচে অবৈধ বালু উত্তোলন: ধ্বংসের মুখে কোটি টাকার স্প্যার বাঁধ

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

‎জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না,লালমনিরহাট,রংপুরঃ

‎লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদীর তীরে নির্মিত ৫ কোটি টাকার সলেডি স্প্যার বাঁধ এখন চরম ঝুঁকিতে। বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বসানো হয়েছে বালু উত্তোলনের বোমা মেশিন। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে নদীর বালু।

‎জানা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০২ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদীর বাম তীরে সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ নির্মান করে সরকার। সেই বাঁধের একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বালু উতোলন করছে বালু খেকো চক্র। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের এপিএস মিজানুর রহমানের ঘনিষ্ট সহযোগি শওকত হোসেন ওরফে বালু শওকত। গত ১০ বছর এপিএস মিজানের তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন ও বিক্রির ব্যবসা দেখভাল করতেন শওকত। মিজান পলাতক হলেও খোলস পাল্টিয়ে ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত আলী। তার বাড়ি পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামে। বিগত দিনে এপিএস মিজান ও আওয়ামী ক্ষমতা দেখিয়ে বালু উত্তোলন করে শুন্য থেকে হয়েছেন কোটিপতি।

‎স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারী কাজের অজুহাত দেখিয়ে তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বালু শওকত। বিগত দিনে মন্ত্রীর এপিএস মিজানের নামে তোলা হলেও বর্তমানে সরকারী কাজের অজুহাতে বালু তুলছেন শওকত। বোমা মেশিনটি সলেডি স্প্যার বাঁধের প্রায় একশত গজ ভাটিতে নেয়া হয়েছে। ফলে সেখানে বড় গর্ত হওয়ায় যেকোন মুহুর্তে ধ্বসে যেতে পারে  স্প্যার বাঁধটি। এটি ধ্বসে গেলে শত শত বসতভিটা স্থাপনা ও আবাদি জমি তিস্তার কড়াল গ্রাসে বিদ্ধস্থ হবে।

‎শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সলেডি স্প্যার বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দক্ষিণে প্রায় পাঁচশত গজ দুরে মজুর বাড়ির পাশে স্তুপ করা হচ্ছে তিস্তা নদীর বালু।  কয়েক দিন আগে স্তুপ করা হয় ওই এলাকার  রফিজের ছেলে মন্টু মিয়া, মোসলেমের ছেলে মন্টু, নবিয়ারের ছেলে তাজাম্মেল, বজলুর ছেলে রবিউলের বাড়ির পাশেসহ অনেক স্থানে স্তুপ করে। বালু তোলা শেষ হলে সুযোগ মত সড়িয়ে নেয়া হবে ট্রাকে। এমনটা দাবি স্থানীয়দের। তবে সেখানে কর্মরত একজন শ্রমিক বলেন, শওকতের নির্দেশে বালু তোলা হচ্ছে। তার মেশিন তার তেল আমরা তার হয়ে কাজটা করছি মাত্র।বালু প্রসঙ্গে কিছু জানতে হলে শওকতের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন এ শ্রমিক।

‎নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আওয়ামীলীগ আমলে এপিএস মিজানের হয়ে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করেছে বালু শওকত। এখন মিজান নেই, ভোল্ট পাল্টিয়ে স্থানীয় অন্য দলের নেতাদের সাথে নিয়ে পুর্বের ব্যবসা ঠিক রেখেছে শওকত। একই স্থান থেকে প্রতিবছর বালু উত্তোলন করায় বাঁধটি বেশ ঝুঁকিপুর্ন হয়েছে। বন্যার সময় বাঁধটি কেঁপে উঠে। বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে স্থানীয় নেতাদের দিয়ে হয়রানী করে। তাই কেউ প্রতিবাদ করে না।

‎এসব বিষয়ে শওকত আলী ওরফে বালু শওকত বলেন, সলেডি স্প্যার বাঁধের ভাটিতে প্রায় ১৩ হাজার জিও ব্যাগে বালু ভরাট করার কাজ পেয়েছেন দিনাজপুরের একজন ঠিকাদার। তার হয়ে আমি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে কাজ শেষ করেছি। এখন কে বালু উত্তোলন করছে তা আমার জানা নেই। স্প্যার বাঁধের কাছে বালু মেশিন বসানোর কারনে বাঁধের ক্ষতি হবে কি না?  এমন প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি। মুল ঠিকাদারের নাম নম্বর চাইলেও দেননি তিনি।

‎লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, জিও ব্যাগে বালু ভরাট ও ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। বালু স্থানীয় ভাবে ম্যানেজ করার কথা হয়েছে। তবে বাঁধের নিচে মেশিন বসানো ঠিক নয়। বিষয়টি দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‎আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বিধান কান্তি হালদারকে একাধিক বার ফোন করেও তিনি রিসিভ করেননি।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft