খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলাকারী সিজু মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শন শেষে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
তিনি জানান, ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এসময় রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) রুনা লায়না, গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম ও গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য; পুলিশের ভাষ্য গত ২৪ জুলাই রাতে সাঘাটা থানায় অভিযোগ করতে এসে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশের এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন সিজু মিয়া। পুলিশের অন্য সদস্যরা বাধা দিলে এক এএসআইকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন তিনি। পরদিন ২৫ জুলাই সকালে ওই পুকুর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। সন্ধ্যায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে রাত ১ টার দিকে সিজুর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। পরে ২৬ জুলাই তাঁকে দাফন সম্পন্ন করা হয়। তবে সিজুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।