স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় দীর্ঘদিনের যানজটের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে এলাকাবাসী। সময়োপযোগী রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ফ্লাইওভারটি চালু হওয়ায় উপজেলার চিরাচরিত দীর্ঘ যানজটের দৃশ্য আর চোখে পড়ছে না। সাসেক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়ক টু-লেন থেকে ফোর-লেনে উন্নীতকরণের অংশ হিসেবে পলাশবাড়ী চৌমাথায় নির্মিত হয়েছে প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভার। উত্তর–দক্ষিণমুখী এ ফ্লাইওভারের নিচে সংযোগ সড়ক এবং উভয় পাশে দুটি ফুটওভারপাস রয়েছে।
ফ্লাইওভারটির আনুমানিক ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ১০ শতাংশ কাজ চলমান থাকলেও এর সুফল ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। ভৌগোলিক গুরুত্বের কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চৌমাথায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়ক ও দিনাজপুর–গাইবান্ধা সড়কের মিলনস্থলে প্রায়ই দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হতো। বর্তমানে দূরপাল্লার যানবাহন ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করায় নিচের সড়ক দিয়ে গাইবান্ধা–দিনাজপুরগামী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। এতে পথচারীদের দুর্ভোগ যেমন কমেছে, তেমনি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে শব্দদূষণ।
বিশেষ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় এ মহাসড়কে ৫-৬ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট লেগে থাকত। ফ্লাইওভার চালুর ফলে সে পরিস্থিতির বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। তবে হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক ফোর-লেনে উন্নীতকরণের শুরু থেকেই পলাশবাড়ীবাসীর প্রত্যাশা ছিল একটি দীর্ঘ উড়ালসেতু। কাঙ্ক্ষিত উড়ালসেতুর পরিবর্তে ফ্লাইওভার নির্মিত হওয়ায় কিছুটা হতাশা রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। বিশেষ করে ফ্লাইওভারের দুপাশে নির্মিত দীর্ঘ প্রাচীরের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রাচীরের কারণে এলাকাটি দুই ভাগে বিভক্ত হলেও সামগ্রিকভাবে পলাশবাড়ী এখন যানজটমুক্ত, যার সুফল পাচ্ছে শুধু স্থানীয়রা নয়, সারা দেশের মানুষ ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও। তবে ফোর-লেনে উন্নীত মহাসড়কে ছোট যানবাহনের চলাচল ও ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যত্রতত্র চলাচলের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
এ অবস্থায় যানবাহন ব্যবস্থাপনা ও পথচারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.