এম,এ শাহীন, তারাগঞ্জ,রংপুরঃ
তারাগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়নে টানা কয়েকদিন ধরে তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে টিএসপি ও মরক্কো সার না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আলুচাষীরা।
মাঠের কাজ ঠিকমতো শুরু হলেও সার না থাকায় অনেকেই নির্ধারিত সময়ে জমিতে আলুর বীজ বপন করতে পারছেন না। এতে চলতি মৌসুমের আলু উৎপাদন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কৃষক মমিনুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম জানান, এক একর জমি চাষ করে ১০ দিন ধরে সারের অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় টিএসপি ও মরক্কো সার না পাওয়ায় এখনও আলু বপন শুরু করতে পারেননি।
তাদের অভিযোগ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাসিমা আক্তারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সদুত্তর মিলছে না। তিনি জানিয়েছেন, ইউনিয়নের কোনো গুদামেই বর্তমানে এই দুই ধরনের সার মজুত নেই।
তবে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাহিমাপুরসহ পাঁচ ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ডিলার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে গোপনে সার বিক্রি করছেন।
এক বস্তা মরক্কো সারের দাম কত ১৩৫০ টাকা হলেও বিভিন্নখানে ২২ থেকে ২৫০০ টাকায় তা বিক্রি করা হচ্ছে।
ফলে সাধারণ কৃষকরা ডিলারদের দোকানে গেলেও চাহিদামতো সার পাচ্ছেন না।
স্থানীয় কৃষক মিন্টু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সার ছাড়া চাষাবাদ করা অসম্ভব। প্রতিদিন সার খুঁজে সময় নষ্ট হচ্ছে। জমি পড়ে আছে, কিন্তু সার নেই। কৃষকদের অভিযোগ বাজারে সার থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ কম’ কিংবা ‘স্টক শেষ’ এমন অজুহাত দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রির সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।
এতে ক্ষোভ, হতাশা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী সার আসছে। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সাময়িক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দ্রুত সংকট নিরসনের আশ্বাসও দেন তিনি। যেসব ডিলার দ্বিগুন যাবে সার বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কৃষকদের দাবি জরুরি ভিত্তিতে সার সরবরাহ বাড়ানো না হলে চলমান মৌসুমের আলু উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
আব্দুল্লাহিল মতিন শাহীন
তারাগঞ্জ, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
০১৭১২-২৭১৫৮৩।
ছবি সংযুক্ত :
ডিলারদের কৃত্রিম সার সংকটে দিশেহারা তারাগঞ্জের আলুচাষীরা
উপজেলা প্রতিনিধি, তারাগঞ্জ (রংপুর)
তারাগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়নে টানা কয়েকদিন ধরে দেখা দিয়েছে তীব্র সার সংকট। বিশেষ করে টিএসপি ও মরক্কো সারের অভাবে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন আলুচাষীরা।
মাঠের কাজ ঠিকমতো শুরু হলেও সার না থাকায় অনেকে নির্ধারিত সময়ে জমিতে আলুর বীজ বপন করতে পারছেন না। এতে চলতি মৌসুমের আলু উৎপাদন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
কুর্শা ইউনিয়নের কৃষক মমিনুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম জানান, এক একর জমি চাষ করার পর ১০ দিন ধরে সারের অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় টিএসপি ও মরক্কো সার না পাওয়ায় এখনও বীজ বপন করতে পারেননি।
তাদের অভিযোগ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাসিমা আক্তারের সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করলেও কোনো সঠিক তথ্য মিলছে না।
তিনি জানিয়েছেন, ইউনিয়নের কোনো গুদামেই বর্তমানে এই দুই ধরনের সার মজুত নেই।
অন্যদিকে, স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাহিমাপুরসহ পাঁচ ইউনিয়নের কয়েকজন ডিলার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে গোপনে সার বিক্রি করছেন। এক বস্তা মরক্কো সারের সরকারি মূল্য যেখানে ১,৩৫০ টাকা, সেখানে তা ২,২০০ থেকে ২,৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ডিলারদের দোকানে গেলেও কৃষকরা চাহিদামতো সার পাচ্ছেন না।
স্থানীয় কৃষক মিন্টু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সার ছাড়া চাষাবাদ অসম্ভব। প্রতিদিন সার খুঁজে সময় নষ্ট হচ্ছে। জমি পড়ে আছে, কিন্তু সার নেই। বাজারে সার থাকা সত্ত্বেও ‘সরবরাহ কম’ বা ‘স্টক শেষ’ অজুহাতে বেশি দামে বিক্রি করছে ডিলাররা। ফলে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী সার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সাময়িক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। খুব দ্রুত সংকট কাটিয়ে উঠার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি যেসব ডিলার অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।
কৃষকদের দাবি জরুরি ভিত্তিতে সার সরবরাহ না বাড়ালে চলতি মৌসুমের আলু উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।