খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরের থানাপাড়ার অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন তারা।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব বায়জিদ বোস্তামী জিম, যুগ্ম আহ্বায়ক অতনু সাহা, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুলাহ জিসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানান, গত ৩ ডিসেম্বর এনসিপির যে নতুন জেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়, সেই কমিটির আহ্বায়ক খাদিমুল ইসলাম খুদি জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ও জাসদের প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। এছাড়া ওই কমিটিতে ফ্যাসিস্টের একাধিক সদস্য রয়েছে। দ্রুত ওই কমিটি বাতিল করে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক অতনু সাহা বলেন, খাদেমুল ইসলাম খুদিকে পুনর্বাসিত করায় জুলাই যোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে জানতে আহবায়ক কমিটির সদস্য গাইবান্ধা জেলা এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ, আহ্ববায়ক ফিয়াদুর রহমান দিবস ও উত্তরাঞ্চল সংগঠক সারজিস আলমের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাইনি। এ কারণে আজ এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
অন্যদিকে খাদেমুল ইসলাম খুদি বলেন, “আমি এখনও ঢাকায় অবস্থান করছি। এ ব্যাপারে কিছু জানি না।”
তিনি আরো বলেন, আমার নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস আছে। আমি কখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। সব সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করেছি। এমনকি তার দোসরদের সঙ্গেও আমার রাজনৈতিক কোনো যোগাযোগ নেই।
“জাসদের রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট আমার পরিপন্থী। তাই আমি জুলাইয়ের আদর্শ ধারণ করতে এনসিপিতে যোগ দিয়েছি।” যোগ করেন তিনি।