খবরবাড়ি ডেস্কঃ চলতি আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকের নিকট ধান ক্রয় এবং ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবীতে গাইবান্ধা বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন। কর্মসূচী শেষে এসব দাবী জানিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাধ্যমে খাদ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের এক নম্বর রেলগেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো ওইস্থানে মিলিত হয়।
সংগঠনের সদর উপজেলা শাখঅর সভাপতি কমরেড গোলাম ছাদেক লেবু’র সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহবায়ক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসানুল হাবিব সাঈদ,বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন সদর উপজেলা সহ-সভাপতি কমরেড কাজী আবু রাহেন শফিউল্লা খোকন, অ্যাড. নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, ডা. আব্দুল জব্বার, পরমানন্দ দাস, রাহেলা খাতুন, আয়নাল হক প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলতি আমন মৌসুমে লাভজনক মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় এবং চালের দিগুণ পরিমাণ ধান কিনে মিলারদের মাধ্যমে সরকার চাল ক্রয়ের দাবী জানান। সরকার নির্ধারিত মূল্য বাতিলের দাবীসহ ১২ লাখটন ধান সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ক্রয়ের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবী।
বক্তারা আরো বলেন বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে যুক্ত। ৫৩ বছরের শাসনে এদেশের কৃষি-কৃষকদেরকে দিনমজুর-ভুমিহীন এ পরিণত করেছে। তাই দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষি ও কৃষকদেরকে রক্ষা করতে হবে। সেই সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, ১০টাকায় ওএমএসএর চাল, শহরে কমদামে পর্যাপ্ত টিসিবি কার্যক্রম সারা বছর চালু রাখা, আর্মির রেটে রেশন। ধান, ভুট্টা, আলুসহ সকল কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, সরকারি উদ্যোগে ক্রয় কেন্দ্র খোলা ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম, জেলায় হিমাগার নির্মাণ। কৃষি ঋণ মওকুফ করা, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, বিনাসুদে সহজ শর্তে ঋণ দান, এনজিও মহাজনি ঋণের তীব্র, অমানবিক শোষণ জুলুম আইন করে নিষিদ্ধ করা, কিস্তির হয়রানি বন্ধ।
ক্ষে মজুরদের সারা বছর কাজের নিশ্চয়তা, ১২০দিনের কর্মসৃজন টিআর, কাবিখা-কাবিটা চালু। হাটে হাটে ইজারাদারি জুলুম বন্ধ, সরকারি টোল চার্ট লাগানো, অনিয়ম দুর্নীতি হয়রানি বন্ধসহ পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোড শেডিং বন্ধ, ভূতুরে বিল, দুর্নীতি, হয়রানি বন্ধ করে বিনা পয়সায় সংযোগ দেয়া, মিটার ভাড়া বাতিল। খাস জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন করা। বেকার সমস্যার সমাধানে জেলায় জেলায় কৃষি ভিত্তিক সরকারি শিল্প কারখানা নির্মাণ, বন্ধকৃত পাটকল, চিনি কল অবিলম্বে চালু। নদী ভাঙ্গন ও বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান, ইকোনমিক জোন, পাওয়ার প্লান, ইট ভাটার নামে কৃষি জমি ধ্বংস বন্ধের দাবী জানান।