খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এক নারীর ওপর স্বামীর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গরম লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেওয়া ও কাঁচি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৮) বর্তমানে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর গ্রামে। আহত শারমিন ওই ইউনিয়নের সাদা মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। চার বছর আগে ফরিদপুর ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম বকুর মেয়ে শারমিনের সঙ্গে আলমগীরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দু’টি সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই স্বামী আলমগীর সামান্য কথাকাটাকাটির জের ধরে স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। সোমবার সকালে একই কারণে উত্তেজিত হয়ে তিনি লোহার রড গরম করে স্ত্রীর মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাকা দেন। এরপরও ক্ষান্ত না হয়ে কাঁচি দিয়ে শারমিনের বাম পায়ের রগ কেটে দেন।
রক্তাক্ত অবস্থায় শারমিন বাড়িতেই পড়ে থাকলে স্থানীয়রা গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুপুর বলেন, গুরুতর জখম অবস্থায় শারমিন আক্তারকে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের একাধিক স্থানে ছ্যাকা ও রক্তক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসা চলছে।
আহতের মা সুফিয়া বেগম জানান, আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে আলমগীর। আজ পাষন্ডের মতো মেয়ের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সাদুল্লাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।