খবরবাড়ি ডেস্কঃ সাঁওতাল হত্যা দিবসে তিন সাঁওতালের বিচারের দাবীতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে আরেকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাহেবগঞ্জ- বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির একাংশের সভাপতি ফিলিমন বাসকেরসভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খায়রুল কবির, এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, আদিবাসী নেত্রী বিচিত্রা তিরকিত, গাইবান্ধা আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু ওসমাজকর্মী মোর্শেদ হাসান দীপন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নয় বছরেও বিচারহীনতা শুধু অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, রাষ্ট্রের মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বক্তারা আরো বলেন, বাপ-দাদার জমিতে স্থানীয়দের সাথে কোনো পূর্বাবহিত সম্মতি ছাড়াই ইপিজেড স্থাপনের ঘোষণা আদিবাসী ও বাঙালি জনগণের জীবনে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড স্থাপনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে জেলার অন্যত্র করার দাবী সমূহ ব্যক্ত করেন তারা। পাশাপাশি সেচ সুবিধায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, ভূমি সংকট নিরসনে পৃথক ভূমি কমিশন গঠনসহ সাত দফা দাবী বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য; ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা সাঁওতালদেরকে উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন সাঁওতাল আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিন- সাঁওতাল মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম মারা যান।