সম্পাদকীয়ঃ
সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধা জুরেও সরকারি গোডাউনে সংরক্ষিত চালের মান এতটাই নিম্নস্তরের যে উপকারভোগীদের অনেকেই চাল সংগ্রহের পর তা খাওয়ার অনুপযোগী মনে করে দালালচক্রের কাছে বিক্রি করছেন। অভিযোগ উঠেছে, এসব দালাল সেই চাল আবারও কালোবাজারির মাধ্যমে ফের সরকারি গোডাউনে সরবরাহ করছে। পরে একই নিম্নমানের চাল আবারও উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। ফলে একই চাল দালালচক্র ও সরকারি গোডাউন—দুয়ের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে এবং উপকারভোগীরা বারবার প্রতারিত হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতার সুযোগে এ চক্র বছরের পর বছর সক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো নজরদারি বা কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় পুরো প্রক্রিয়াটি এখন যেন ‘মগেরমুলুক’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপকারভোগীরা জানান, সরকার যেসব ‘মোটা চাল’ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় কম দামে বা বিনামূল্যে দেয়ার কথা বলেন, তা বাস্তবে অনেক সময়ই খাওয়ার অযোগ্য হয়ে থাকে। সাধারণত ধনীরা যে মোটা চাল খেতে চান না, সেই একই জাতের নিম্নমানের চাল গরিব মানুষের ভাগ্য হিসেবেই বরাদ্দ করা হয়। উপকারভোগীদের প্রশ্ন—“ধনী-গরিব সবারই ভাত তো একইভাবে মুখ-গলা দিয়ে খাওয়া হয়, তাহলে বৈষম্য কেন?”
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, একই চাল দীর্ঘদিন ধরে বারবার হাতবদল হয়ে গোডাউনে ফিরে আসে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাল পোকায় ধরে, বাজে গন্ধ ছড়ায় এবং সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। অথচ এসব বিষয় কোনো পর্যায়ে গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।