গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বৈরীহরিণমারী গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে আব্দুস কুদ্দুস শেখ ও হাফিজার শেখ দুই সহোদর ভাইয়ের দীর্ঘদিনের জমাজমির বিরোধ এক পর্যায়ে অবিশ্বাস্য রূপ নেয়। বিরোধের জেরে বড় ভাই আবদুস কদ্দুছ শেখ প্রকাশ্যে মাইকিং করে পরদিন নির্দিষ্ট স্থানে মারামারির ঘোষণা দেন—এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।
৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আবদুস কদ্দুছ শেখ একটি রিকশায় মাইক বেঁধে গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালান। ঘোষণা দেন, “আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা পানের বরজে দুই ভাইয়ের মারামারি হবে।” স্থানীয় এক যুবক এ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করলে সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। ভিডিওতে কদ্দুছকে আরও বলতে শোনা যায়, “রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। ভাই জমাজমির হিসাব করে না, আমার কাছে আসে না।”
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ তাকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টা বলেন, “মাইকিংয়ের বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হলে তার পরিবার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থানায় এসে জানান যে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। পরে পরিবারের আবেদনে মুচলেকা নেওয়ার পর তাকে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।”
পরিবারের পক্ষ থেকে অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ পুনরায় না করার আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে দেশি–বিদেশি কেউ যেন ভীত বা বিব্রত না হন—এ আহ্বানও জানান তারা।