খবরবাড়ি ডেস্কঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ২ নম্বর হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যরামচন্দ্রপুর গ্রামে অবস্থিত শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দির এখন জেলার অন্যতম নান্দনিক সনাতন ধর্মীয় উপাসনালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। নতুন নকশা, চমৎকার নির্মাণশৈলী ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশের কারণে মন্দিরটি অল্প সময়েই দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মন্দিরে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেবদেবীর বিগ্রহের পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ৫৩ ফুট উচ্চতার শ্রীকৃষ্ণের একটি বিগ্রহ। এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃষ্ণ মূর্তি’ বলে সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করা হলে বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয় বিস্তর আলোচনা ও বিভ্রান্তি।
সচেতন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, বিগ্রহের আকার-আকৃতি কোনো ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ করে না, ভগবান সর্বত্রই বিদ্যমান, তিনি যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে আবির্ভূত হতে পারেন। তাই মূর্তির আকার নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার বিভ্রান্তি ছড়ানোর শামিল বলে মন্তব্য করেন তারা।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,
২০১৯ সালে নেপালের সুনওয়াল পৌরসভায় নির্মিত ৭১ ফুট উচ্চতার কৃষ্ণ মূর্তি দীর্ঘদিন সবচেয়ে বড়গুলোর একটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
পরবর্তীতে ভারতের উত্তর প্রদেশের গৌর ইয়ামুনা সিটিতে ১০৮ ফুট উচ্চতার শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি নির্মিত হয়, যা বর্তমানে সবচেয়ে বড় কৃষ্ণ মূর্তি হিসেবে স্বীকৃত।
এ অবস্থায় পলাশবাড়ীর ৫৩ ফুট উচ্চতার মূর্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড়’ দাবি করা বাস্তব তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মনে করেন সচেতন সনাতনী সমাজের প্রতিনিধিরা।