খবরবাড়ি ডেস্কঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: রাজ-৪৯৪) কার্যালয় জামায়াতপন্থী শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের দ্বারা দখলের অভিযোগ তুলেছে সংগঠনের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি। এ ঘটনায় ২৬ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা রোডস্থ তিন মাথা মোড়ে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোশফেকুর রহমান রিপন। তিনি জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পলাতক হওয়া এবং সভাপতি দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে সাধারণ সভার মাধ্যমে তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আব্দুল মোত্তালেব সরকার বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই সময় সর্বসম্মতিক্রমে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে।
তিনি অভিযোগ করেন, কমিটি গঠনের পর থেকেই স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খাইরুল ইসলাম চান মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে তলবী সভা আহ্বানের চেষ্টা করে। বিগত ১ জুন ২০২৫ তারিখে তারা একটি অবৈধ তলবী সভা পরিচালনা করলে শ্রম দপ্তর রাজশাহী সেটি বাতিল ঘোষণা করে। এরপর আবারও ১৬ নভেম্বর আবু তাহের ড্রাইভার নতুন করে তলবী সভার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করলে ২৪ নভেম্বর শ্রম দপ্তর সেটিও তদন্ত সাপেক্ষে বাতিল করে এবং আবেদনকারী ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বারবার শ্রম দপ্তরে আবেদন বাতিল হওয়ায় খাইরুল ইসলাম চান ও আবু তাহেরের নেতৃত্বে পেশাশক্তি প্রয়োগ করে শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় দখল করে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে সংগঠনের চলমান কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং শ্রমিকদের মধ্যে দাঙ্গা উস্কে দেওয়া হচ্ছে।
তারা শ্রম দপ্তর রাজশাহী, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোতালেব সরকার বকুল, সহ সভাপতি আজাহার আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক সাজু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল, সড়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ সাহেদ আলী, দপ্তর সম্পাদক আরিফ মিয়া, প্রচার সম্পাদক রাজা মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক জাকারিয়া আলম জলিল, কার্যনির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান ও রাজু আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।